একটা সময় ছিল যখন টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন তারিন, ঈশিতা, অপি, রিচি, শ্রাবন্তী ও নাদিয়া। অভিনয়ে এখনো অনেকটাই তারিন জাহান ও নাদিয়া আহমেদকে নিয়মিত দেখা গেলেও। বাকি যে চারজনের মধ্যে ঈশিতা, অপি করিম’কে মাঝে মাঝে অভিনয়ে দেখা যায়। রিচি আর শ্রাবন্তী দীর্ঘদিন নতুন কোনো কাজে নেই। আর কাজ ছাড়া নিজেদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হওয়াটাও যে একটু কঠিন সেটাও জানেন তারা। জানেন বলেই অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান উদ্যোগ নিয়েছেন সবাইকে একত্রিত করার।
গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে রিচির নিমন্ত্রণে রাজধানীর উত্তরার সাত নম্বর সেক্টরে রিচির বাসায় উপস্থিত হয়েছিলেন ঈশিতা, অপি, শ্রাবন্তী ও নাদিয়া। যেহেতু এটি একেবারেই পারিবারিক একটি আড্ডা ছিল, তাই সবাই চেষ্টা করেছেন সময়মতো এসে সময়টাকে উপভোগ করার জন্য। প্রথমে রিচির বাসায় উপস্থিত হন শ্রাবন্তী।
রিচির দুই সন্তান রায়ান ও ইলমা’কে কাছে টেনে আদর করেন শ্রাবন্তী। এরপর আসেন অপি করমি, সঙ্গে ছিল তার কন্যা সন্তান রশ্মি। এরপর আসেন ঈশিতা ও নাদিয়া। সেদিন ঢাকা শহরে প্রচন্ড জ্যামের কারণে এবং সন্ধ্যায় একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে হবে বিধায় তারিন জাহান এই আড্ডায় অংশ নিতে পারেননি। অবশ্য তিনি এ নিয়ে ভীষণ আফসোস করেছেন। সবার সাথে দেখা হলো তারও ভালো লাগতো। সন্ধ্যা পর্যন্ত রিচি, ঈশিতা, অপি, শ্রাবন্তী, নাদিয়া আড্ডা দিয়েছেন। ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ করেছেন। অনেকদিন পর এমন নির্মল আড্ডায় সময় কাটিয়ে সবাই যেন উচ্ছসিত ছিল।
রিচি বলেন,‘ আমার বাসায় সবার সঙ্গে এমন চমৎকার সময় কাটাতে পেরে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। একটা সময় ছিল যখন আমাদের মধ্যেই ভীষণ প্রতিযোগিতা ছিল। ক্যামেরা কাকে ক্লোজ ধরলো, কাকে ধরলো না-এসব নিয়েই মন খারাপ হতো। এসবই ছিল আসলে অর্থহীন। এই সময়ে এসে আমরা সবাই একটা বিষয় উপলদ্ধি করলাম , আমরা ছোটবেলায় যখন আমাদের মা বাবা-র সঙ্গে যে সময়টা কাটাচ্ছিলাম-যখন আমাদের কারো দাদা, কারো নানা, কারো নানী মারা যাচ্ছেন। আমাদের বাচ্চারাও সেই সময়টাই পার করছে এখন। আমাদের এই পাঁচজনেরই কারো মা , কারো বাবা আবার কারো মা বাবা দু’জনই মারা গেছেন। তো এখন আসলে আমরা চমৎকার একটি বন্ধনের মধ্যদিয়ে জীবনটা পার করে দিতে চাই।’