এক দশক আগেও চলচ্চিত্রে স্বর্ণযুগ ছিল পলির। তখন এই নায়িকা এতই ব্যস্ত ছিলেন যে, দম ফেলার সময় পেতেন না। বছরে ৩৬টি সিনেমা পর্যন্ত করেছেন। তবে সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই থেমে যায়। থেমে গেছেন পলিও।
মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত মান্নার বিপরীতে ‘ফায়ার’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই ছবিতে পা রাখেন পলি। এরপর শাকিব খান, রুবেল, আমিন খান, অমিত হাসান, আলেকজান্ডার বো, মেহেদীসহ অনেক নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি।
মাত্র ৫ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে পলি অভিনয় করেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। তিনি বলেছেন, অশ্লীলতা আসলে কী সেটা আমি বুঝি না। যারা এগুলো বলেন তারা ঠিক বলেন না।
পলি বলেন, আমি বুঝি না চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা কী? আমি বুঝি কমার্শিয়াল সিনেমা। একজন প্রযোজক যখন আমাকে কাস্ট করেন তখন আমাকে তার সেই ছবিতে ইনভেস্ট করেন। সেই টাকা ফেরত না পেলে পরবর্তীতে আর সিনেমা বানাবেন না। একটু কমার্শিয়াল না করলে হিট করবে কি করে! আমি অশ্লীল কিছু করিনি, কমার্শিয়াল সিনেমা করেছি।
সেই সময় অশ্লীল যে সব ছবি হতো তা নিয়ে পরিবার কি কোন ধরণের বাঁধা দিতো কিনা জানতে চাইলে এই নায়িকা বলেন, না আমার ফ্যামিলি জানতো এটি পুরোটাই মেকি জিনিস। ক্যামেরার সামনে আমি থাকলেও তাঁর পিছনে আরও অনেক জন থাকতো সো তাঁরা কখনোই বিষয়গুলো অন্য ভাবে দেখতো না।
শাকিব খানের সাথে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন পলি। শাকিবের খানের সাথে কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শাকিব খান খুব ভালো মনের মানুষ। একদিন শুটিংয়ে আমাকে বলছিল, আজকে তুই আমার সাথে দুপুরের খাবার খাবা। আম্মুর বাসা থেকে খাবার পাঠিয়েছে, দুইজন এক সাথে খাব। খাবার খেতে খেতে আমাকে শাকিব কিছু উপদেশ দিয়েছিল। আমার মনে হয় তাঁর সেই কথাগুলো শুনলে হয়তো আমি আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম।
উল্লেখ্য, অভিনয় থেকে দূরে গিয়ে পলি এখন ব্যস্ত আছেন ব্যবসা নিয়ে। ব্যবসা, পরিবার নিয়েই এখন তার ব্যস্ততা। সাধারণ চরিত্র নিয়ে কখনই পর্দায় আসবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন এই নায়িকা।