× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ত্রিপুরা উপনির্বাচনে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি উত্তেজনা চরমে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ জুন ২০২২, ১৫:৪০ পিএম

ভারতে বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা সাধারণত কমই থাকে। আজ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা চরমে। আগামীকাল যে চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে। তার ভোট গণনা হবে আগামী শনিবার।

উপনির্বাচন ঘিরে উৎসাহের নানা কারণ আছে। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বারদৌলি টাউন আসনের প্রার্থী। কয়েক মাস আগে বিপ্লবকুমার দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। মানিক সাহা ভারতের রাজ্যসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার এমপি ছিলেন। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের আশীষ কুমার সাহা। যিনি অতীতে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আশীষ সাহা ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি বিজেপি ছেড়ে তার পুরোনো দল কংগ্রেসে ফিরে আসায় বারদৌলিতে উপনির্বাচন হচ্ছে।

কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে আবার কংগ্রেসে ফিরেছেন ত্রিপুরার অন্যতম প্রভাবশালী নেতা সুদীপ রায়বর্মন। তিনি ২৫ বছর ধরে আগরতলা আসনে জিতছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মনের পুত্র সুদীপ আগরতলা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী। দলের ভেতরে বিপ্লবকুমার দেবের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠায় তাকে সরাতে বাধ্য হয় বিজেপি। নির্বাচনে জিততে পারলে, ২০২৩–এ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রধান মুখ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।

এবার যুবরাজনগর আসনে নির্বাচন হচ্ছে সেখানকার প্রয়াত এমএলএ, বামফ্রন্টের সাবেক স্পিকার রমেশচন্দ্র দেবনাথের মৃত্যুর কারণে।

সাবেক এমএলএ বিজেপির আশিস দাস কংগ্রেসে ফিরে আসায় সুরমা আসনেও নির্বাচন হচ্ছে। আশিস দাস বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের কাজে হতাশ হয়ে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। তবে সেখানে কংগ্রেসের মনোনয়ন পাননি তিনি। কংগ্রেস সুরমায় সমর্থন করছে ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মার দল তিপ্রা মোথাকে। গত এক বছরে তিপ্রা মোথা একটি জনপ্রিয় দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর কারণ তাদের উপজাতি, আদিবাসী ও মূল নিবাসী মানুষের জন্য বৃহত্তর ও পৃথক ‘তিপ্রা ল্যান্ডের’ আন্দোলন। এ আন্দোলনের জেরে ২০২১ সালের এপ্রিলে ত্রিপুরার স্বায়ত্তশাসিত আদিবাসী অঞ্চলের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৩টির মধ্যে ১৮টি আসন পায় তিপ্রা মোথা। এ আসনে তিপ্রা মোথা কত ভোট পায়, এবার সেদিকেও নজর থাকবে সবার।

এ ছাড়া এবারের উপনির্বাচনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে। সেটি হলো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া। গত দুই বছরে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের পাশাপাশি একটি তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। যদিও এখন পর্যন্ত তৃণমূল কোনো স্থানীয় নির্বাচনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি। আশিস দাসের মতো বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা নেতাকেও ধরে রাখতে পারেনি। ভালোভাবে প্রচারও করতে পারেনি তারা। এর অন্যতম কারণ হলো আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়মিত জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গত এক সপ্তাহ ছাড়া অন্য সময়ে তিনি ত্রিপুরায় প্রচারে যেতে পারেননি।

তবুও তৃণমূলের জেলা পর্যায়ের নেতারা পুরোদমে চেষ্টা করেছেন অন্তত দুটি আসনে সিপিআইএমকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকার লক্ষ্যে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যুবরাজ নগর ছাড়া বাকি তিনটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বামফ্রন্ট।

এবারের উপনির্বাচন ঘিরে ত্রিপুরায় ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। গত কয়েক মাসে মার খেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। সুদীপ রায়বর্মন গত সপ্তাহে ভালো রকম জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বিরোধীদের বক্তব্য, বিজেপি সব কটি উপনির্বাচনে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নয়। সে কারণেই তারা বিরোধীদের আক্রমণ করেছে। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, বিরোধীরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে নিজেদের মধ্যে মারপিট করছে।

উপনির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কায় চারটি কেন্দ্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোট ১৪টি নির্বাচনী কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.