× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হত্যা করে এসিডে স্ত্রীর মুখ পুড়িয়ে দেন বিচারক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ জুন ২০২২, ১১:৫৩ এএম । আপডেটঃ ২৮ জুন ২০২২, ১১:৫৭ এএম

নিহত টিভি উপস্থাপক সায়মা জামাল। ছবি- আল আরাবিয়া

মিশরে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিচারকের বিরুদ্ধে। 

চলতি বছরের জুলাই মাসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বিচারকের নাম আয়মান হাজাজ। তিনি দেশটির জাতীয় পরিষদের উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন। 

তার স্ত্রীর নাম সায়মা জামাল (৪২)। তিনি দেশটির একটি টিভির উপস্থাপক ছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত কয়েকমাস ধরেই সায়মা জামাল নিখোঁজ ছিলেন। গত ৬ অক্টোবর তাকে সবশেষ গিজা শহরের একটি অভিজাত মার্কেটের সামনে দেখা গিয়েছিল।

সম্প্রতি সায়মার মরদেহ দেখতে পাওয়ার কথা জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী। এরপর থেকেই এ ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

এইচ এম নামে ওই প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে নিহতের পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম তানতাউই বলেন, হাজাজ যখন তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে দেন সেসময় ওই স্বাক্ষিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মিশরের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মাসরাউই আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

আইনজীবী ইব্রাহিম তানতাউই বলেন, হাজাজ সায়মাকে গোপনে বিয়ে করেন। এর আগেও তার এক স্ত্রী রয়েছে। তবে সায়মা সেবিষয়ে কিছুই জানতো না।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার দিন দুইজনের মধ্যে তর্কের জেরে হাজাজ সায়মার মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে তিনবার আঘাত করলে সে জ্ঞান হারায়। পরে তার পরা স্কার্ফ দিয়ে তাকে ঘটনাস্থলেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

এইচএম বলেন, এ ঘটনা দেখে ফেলার কারণে হাজাজ তাকে হুমকি দেয় ও পুলিশের কাছে যেতে বাঁধা দিতে তাকে বন্দী করে রাখে।

একটি সূত্র জানায়, প্রত্যক্ষদর্শী এইচএম একজন ঠিকাদার। ঘটনার এক মাস আগে তার কাছ থেকে হাজাজ একটি খামার ভাড়া নেন। ঘটনার দিন হাজাজ যখন জামালকে নিয়ে খামারটিতে যান তখন এইচএমও সেখানে ছিলেন। এছাড়া হাজাজ ও এইচএম প্রতিবেশী হওয়ায় তারা পূর্ব পরিচিতও ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর হাজাজ এইচএমকে হুমকি দিয়ে জানায়, এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাকেও এই ঘটনায় সহযোগী হিসেবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।

ইব্রাহিম তানতাউই বলেন, হত্যার পর এইচএম হাজাজকে পুলিশের কাছে গিয়ে সব স্বীকার করতে বললে সে তাতে রাজি না হয়ে উল্টো সেও যাতে পুলিশের কাছে না যেতে পারে সেজন্যে তাকে বন্দী করে রাখে।

পরে এইচএম হাজাজের কাছে কিছু না বলার শর্তে পরিবারের কাছে যাওয়ার অনুমতি পান। ছাড়া পেয়ে তিনি আইনজীবীর কাছে গিয়ে সব খুলে বলেন ও পরে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করান।

মঙ্গলবার পাবলিক প্রসিকিউশন একটি বিবৃতিতে জানায়, এক ব্যক্তি নিহতের সাথে হাজাজের সম্পর্ক ও তাকে হত্যার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

এতে বলা হয়, ওই স্বাক্ষী নিশ্চিত করেছেন তিনি হত্যাকাণ্ডটি দেখেছেন ও মরদেহটি কোথায় আছে তা তিনি জানেন।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম মাসরাউই বলেছে, পাবলিক প্রসিকিউশন হাজাজকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে সায়মা হত্যার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন মিশরীয়রা। এর আগে গত সপ্তাহে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারের সামনে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে একুশ বছর বয়সী এক মিশরীয় ছাত্রী নিহত হন। সূত্র: আল আরাবিয়া

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.