টানা চার মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। উভয়পক্ষের এই সম্মুখ সমরে রাশিয়ার ‘অর্জনই’ যেন বেশি। মূলত পুরো ইউক্রেন ছেড়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলেই এখন চলছে তীব্র লড়াই। এই লড়াইয়ে সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর সেভেরোদোনেতস্কের দখল নেয় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
আর এবার লুহানস্ক তথা ডনবাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিসিচানস্কের দখল নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। এছাড়া রাশিয়ার হাতে শহরটির পতন হয়ে থাকতে পারে বলে স্বীকারও করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা। রোববার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
অন্যদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিসিচানস্ক দখলের কথা জানালেও ইউক্রেনীয় বাহিনীর দাবি, এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ তারা এখনও ধরে রেখেছে। ইউক্রেন বলছে, তাদের বাহিনী সেখানে তীব্র রুশ গোলাবর্ষণের মধ্যে আছে। তবে বেশ জোর দিয়েই দেশটি বলছে, লিসিচানস্ক শহরটি দখল করা হয়নি।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, রাশিয়ান সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছেন, তারা সফলভাবে শহরে প্রবেশ করেছে এবং এমনকি ইতোমধ্যেই শহরের কেন্দ্রে পৌঁছেছে। রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম লিসিচানস্ক শহরের রাস্তার মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা রাশিয়ান বাহিনীর কুচকাওয়াজের ভিডিও প্রকাশ করেছে।
এছাড়া রাশিয়ার বিভিন্ন সূত্র শহরের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কেন্দ্রে সোভিয়েত পতাকা রাখার একটি ভিডিও টুইট করেছে। তবে তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।