নিজেদের উচ্চাভিলাষী আন্তর্জাতিক প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াকে নিজের বলয়ে নিয়ে আসতে এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে তৎপরতা চালাচ্ছে চীন। সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নিজেদের সেনাসদস্যদের পাঠাতে চাইছে দেশটি।
আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে এখনও আলোচনা না করলেও ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে চীনের সরকার।
পাকিস্তান থেকে অবশ্য এখনও এ বিষয়ে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক- কোনো সাড়া আসেনি। তবে এ বিষয়ে চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনীর ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে জানা গেছে।
এশিয়া অঞ্চলের ২৪টি সংবাদমাধ্যমের জোট এশিয়ান নিউজ নেটওয়ার্কের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এই কয়েক দিন আগেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে সামরিক জাহাজ নোঙ্গরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারতকে উদ্বেগে ফেলে দিয়েছিল। ভারতের আপত্তির কারণে প্রথমে চীনকে জাহাজ ভেড়ানোর অনুমোদন দেয়নি শ্রীলঙ্কা, কিন্তু পরে দেশটির সরকার এ বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তনের পর গত ১৬ আগস্ট শ্রীলঙ্কায় নিজেদের নির্মিত হাম্বানটোটা বন্দরে এসে উপস্থিত হয় ট্র্যাক স্যাটেলাইট ও আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সমৃদ্ধ চীনা নজরদারি জাহাজ ইউয়ান ওয়াং-৫।