ইউক্রেনে
হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল না
কেনার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ভারতও সে
পথেই হাঁটুক। তবে ভারত সে
পথে হাঁটছে না।
ভারত
বলছে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির
প্রশ্নে কোনো নিষেধাজ্ঞা মানা
হবে না। দেশটির পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে
হামলা শুরু করে রাশিয়া।
এরপর থেকে বেজায় চটেছে
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। একাধিক নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে। এমন
অবস্থাতে ভারত নিজের অবস্থান
স্পষ্ট করল।
ফিনান্সিয়াল
টাইমস শুক্রবার জানিয়েছে, মার্চে তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি গ্রাহক ভারতে রাশিয়ার তেল রপ্তানি চারগুণ
বেড়েছে। রাশিয়া শুধু মার্চেই ভারতে
প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০
হাজার ব্যারেল তেল রপ্তানি করেছে,
যা ২০২১ সালের গড়ের
প্রায় চারগুণ।
ফিনান্সিয়ালের
প্রতিবেদনে পণ্যের তথ্য ও বিশ্লেষণী
সংস্থা কেপলারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,
রাশিয়া বর্তমান চালানের সময়সূচির ওপর ভিত্তি করে
পুরো মাসের জন্য প্রতিদিন দুই
লাখ ৩ হাজার ব্যারেল
রপ্তানি করার পথে রয়েছে।
যুদ্ধময়
পরিস্থিতিতে এর আগে প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দুই
দেশের সঙ্গেই ভারতের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্বব্যাপী অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে তেল
এবং এই ইস্যুতে শুরু
থেকেই নিজেদের জন্য অবস্থান নিয়ে
আছে নয়াদিল্লি।
ভারতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের তেলের প্রয়োজন মেটানোটাই লক্ষ্য। তেল আমদানি নিয়ে
রাজনীতি কাম্য নয়।
রাশিয়া
থেকে সস্তায় ৩০ লাখ ব্যারেল
তেল কিনেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। এ
ক্ষেত্রে রূপি-রুবল ব্যবস্থার
অধীনে কেনাকাটা করা যেতে পারে
কি না- জানতে চাইলে
অরিন্দম বাগচী জানান, তিনি বিস্তারিত তথ্য
জানোন না।
তিনি
বলেন, একমাত্র ভারতই যে রাশিয়া থেকে
তেল কিনছে এমন নয়। ইউরোপ
ও পার্শ্ববর্তী এলাকা মিলিয়ে অন্তত ১৭টি দেশ রাশিয়া
থেকে তেল কিনছে। এর
মধ্যে রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্সসহ অন্য দেশগুলো।
সবমিলিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশ থেকে
রাশিয়ার তেল আমদানি না
করতে যে প্রচ্ছন্ন হুমকি
এসেছে তাকে পাত্তা দিচ্ছে
না ভারত।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে
যে পরিমাণ তেল ব্যবহার করছে,
তার মাত্র ১ শতাংশ বা
তারও কম রাশিয়া থাকে
আসে। আর তেলের অনেকটাই
আসে সৌদি আরব, সংযুক্ত
আরব আমিরাত, ইরাক, এমনকী ৭.৮ শতাংশ
আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।