চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান ১৩২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে
বলে জানা গেছে। আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার
(২১ মার্চ) চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চায়না ইস্টার্নের
ওই বোয়িং ৭৩৭ বিমান সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়ানশিতে বিধ্বস্ত হয়েছে।
চিনের প্রেসিডেন্ট
শি জিনপিং জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷ পাশাপাশি ওই দুর্ঘটনার
কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
পাহাড়ি অঞ্চলে
বিধ্বস্ত হয়েছে বিমানটি। দুর্ঘটনাটি টেং কাউন্টির উঝাও শহরের কাছে ঘটেছে৷ ৬০০ উদ্ধারকর্মী
এবং দমকল কর্মী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তারা আগুন নেভাতে পারলেও এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। তাই আরোহীদের কেউ আর জীবিত নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে চায়না ইস্টার্ন এই
ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ তবে তারা জানায়নি ঠিক কত জন এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের
তোলা ছবি, চীনা সামাজিক মাধ্যমে যেসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দুর্ঘটনাস্থলের আগুন, ধোঁয়া
এবং চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে।
সাংহাই ভিত্তিক
বিমানসংস্থা চায়না ইস্টার্ন দেশের প্রথম সারির একটি বিমানসংস্থা, যেটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক
রুট মিলিয়ে সর্বমোট ২৪৮ টি গন্তব্যে চলাচল করে।
এমইউ-৫৭৩৫
ফ্লাইটটি কুনমিং থেকে গুয়ানঝৌর উদ্দেশে ছেড়ে যায়৷ এরপর ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার-২৪
বিমানটির অবস্থান ‘অজ্ঞাত' দেখায়।
বিমানটি চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর উঝাওতে প্রবেশের পরই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
হয়ে যায়।
এই বিমানটি
২০১৫ সালের জুন মাসে চায়না ইস্টার্নের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ বোয়িং কোম্পানির দুই
ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই বিমানটি ছোট এবং মাঝারি গন্তব্যের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। ৭৩৭
ম্যাক্স সংস্করণটি দুইটি বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বিশ্বব্যাপী এর উড়ান বন্ধ করে দেয়া
হয়।