শ্রীলঙ্কায় বৃহস্পতিবার ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার যে প্রস্তাব করেছিল সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড, তাতে অনুমোদন দিয়েছে পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশন।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে পানির স্তর নেমে যাওয়া এবং তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোতে জ্বালানি সংকটে বুধবার পর্যন্ত দৈনিক ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবারের জন্য সে সময় আরও তিন ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।
দি আইল্যান্ড অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শ্রীলঙ্কায় আজ ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার যে প্রস্তাব করেছিল সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (সিইবি), তাতে অনুমোদন দিয়েছে পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশন (পিইউসি)।
এর আগে বুধবার সিইবি ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিয়ন (সিইবিইইউ) সতর্ক করে বলেছিল, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে পানির স্তর নিচে নামছে। ৭৫০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে শ্রীলঙ্কাবাসীর বিদ্যুৎহীনতা আরও বাড়তে পারে।
সিইবিইইউ প্রেসিডেন্ট অনিল রঞ্জিত ইন্দুওয়ারা বলেছিলেন, আগামী দিনগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নের সময় আরও বাড়তে পারে। কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির মজুত দ্রুত ফুরিয়ে আসায় শ্রীলঙ্কাকে দৈনিক ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখতে হতে পারে।
সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে ৪ হাজার কোটি রুপির বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে। একই সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে ইউনিটপ্রতি ২০ রুপি হয়েছে। দৈনিক এ খরচ দাঁড়িয়েছে ৯৪ কোটি রুপিতে।