দক্ষিণ কোরিয়া, এশিয়ার অন্যতম উন্নতশীল দ্বীপ রাষ্ট্র। অন্যন্য এশীয় দেশগুলোর থেকে সব বিষয়ে একধাপ এগিয়ে। আর এবার তাদের পরিকল্পনা পানির ওপর গোটা শহর নির্মাণের। শহরটি ভাসবে পানিতে।
ইতোমধ্যে ভাসমান শহর নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির এই দেশটি। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে এই শহর নির্মাণের কাজ চলছে।
কিন্তু হঠাৎ এমন পরিকল্পনা কেন? যে কারো মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, ভূমি রেখে পানির ওপর শহর নির্মাণ কেন করা হচ্ছে। তবে বিশ্বে এখন ভূমির টানাটানি। মোট ভূমির পরিমাণ নির্দিষ্ট কিন্তু জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নানা সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে নানা জনপদ। তাই পানির ওপর শহর গড়লে, পরিবেশের ক্ষতিসাধনও হলো না, বসবাসের জন্য স্থান সঙ্কুলানও করা হলো।
পানির ওপর শহর নির্মাণের পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওশিয়ানিক্স’। ২০২৫ নাগাদ এ শহর বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে। এটি নির্মাণে খরচ হবে ২০০ মিলিয়ন ডলার। ১৫ দশমিক ৫ একরের মতো ক্ষেত্রফল হবে এই শহরের।
ভাসমান এ শহরে ভবনের উচ্চতা অবশ্যই কম রাখা হবে। কোনও ভাবেই সাত তলার থেকে বেশি উঁচু করে ভবন নির্মাণ করা হবে না। কারণ বেশি উঁচু ভবন হলে বাতাসের জন্য সমস্যা হতে পারে। অভিনব শহরটির সবই নির্মাণ করা হবে চুনাপাথর দিয়ে।
আপাতত ১২ হাজার মানুষ এ শহরে বাস করতে পারবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এতে এক লাখ লোক বাস করতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে।