শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, তার ছেলে ও সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজাপাকসে ও তাদের ১৫ মিত্রের দেশত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কলম্বোর আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
একইসাথে গত ৯ মে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিজে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই সংঘাতের জেরেই পুরো শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
আদালতের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও চাওয়া হয়েছিল। তবে যে কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করার ক্ষমতা পুলিশের হাতে আছে উল্লেখ করে এ আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।
গত সোমবারের সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা বলছেন, রাজাপাকসে ও তার সহযোগীরা নিজেদের প্রায় ৩ হাজার সমর্থককে রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা করতে প্ররোচিত করেছিলেন। এছাড়া, তার অনুসারীরা তার বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালান। হামলার পর অন্তত ২২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তুমুল বিক্ষোভের মুখে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তাতেও অবশ্য জনরোষ কমেনি। ওই রাতেই হাজারো বিক্ষোভকারী কলম্বোয় রাজাপাকসের বাসভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আটকা পড়েন। পরে ভোরের আলো ফোটার আগেই সেনা পাহারায় কলম্বোর সরকারি বাসভবন ছাড়েন রাজাপাকসে।
লঙ্কান প্রতিরক্ষা বাহিনী ও রাজপাকসের পরিবারের সদস্যদের দাবি, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিঙ্কোমালি শহরে একটি নৌঘাঁটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। এমন খবরে ওই নৌঘাঁটিও ঘিরে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাজাপাকসের ভাই ও দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তারা।