× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পৃথিবীর প্রাচীন ভাষাগুলো

৩০ মে ২০২২, ০১:৪৩ এএম

প্রাচীন ভাষা

মানুষের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হল ভাষা। ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো একে অপরের কাছে ব্যক্ত করি। মানুষ যখন পাহাড়-পর্বত, বনে-জঙ্গলে বাস করত তখন তারা ইশারার মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান করত। কিন্তু ইশারার মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান করতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হত। এই সমস্যা সমাধানের প্রেক্ষিতেই সৃষ্টি হয় ভাষার।

তবে  ঠিক কবে থেকে মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষার ব্যবহার শুরু করল তা নিয়ে নানা মতবাদ রয়েছে। তবে আজ থেকে  প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্বে ভাষার প্রচলন শুরু হয় বলে বিশেজ্ঞদের মত।

আবার মানুষের ব্যবহৃত প্রথম ভাষা কী ছিল তা নিয়েও তর্কের কোন শেষ নেই। তবুও ভাষাবীদরা বহু ভাষার উপরে গবেষণা করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, একটি ভাষা কত পুরনো তা নির্ধারণ করার উপায় রয়েছে। সেই ভাষাটি প্রথম কোন পাঠ্যে পাওয়া গিয়েছে এবং তার সমসাময়িক ব্যবহার দেখলেই তার উৎপত্তির সময় বোঝা সম্ভব। এই তালিকায় সবার প্রথম যে ভাষাটি রয়েছে তা হল তামিল। 

৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এর ইতিহাসের হদিশ পাওয়া গেলেও অনেক ভাষাবিজ্ঞানীর ধারণা যে, এর উৎপত্তি ২৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ তামিল ভাষায় কথা বলেন। এই সমসাময়িক ব্যবহারের জন্যেই তামিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

একটা সময় ছিল যখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং শিক্ষাবীদরা গ্রিক ভাষাতেই ভাবতেন, কথা বলতেন এবং লিখতেন। বর্তমানে গ্রিস এবং সাইপ্রাস নিবাসী প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই ভাষাতেই কথা বলেন, লেখেন। এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম সরকারি ভাষাও বটে। ১৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ গ্রিক ভাষার উৎপত্তি হয় বলে ধারণা করা হয়।

আদিকালে ভারতীয় সংস্কৃতির বেশিরভাগ জুড়ে ছিল সংস্কৃত ভাষার প্রাধান্য। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রগুলোর প্রায় সবগুলোই এই ভাষায় লেখা।  ভারতের এই প্রাচীনতম ভাষার উৎপত্তি প্রায় ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। সংখ্যায় যদিও কম, তবু এখনও বেশ কিছু মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। সংস্কৃতের প্রভাব পশ্চিমি বহু ভাষার উপরেও রয়েছে। কম্পিউটারের প্রাথমিক ভাষা সংস্কৃতের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে।

বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের শেখা প্রথম ভাষাই হল চিনা। পৃথিবীর প্রায় ১২০ কোটি মানুষ চিনা ভাষাকেই তাঁদের প্রধান ভাষা হিসেবে বিবেচনা করেন। শাং সাম্রাজ্যের শেষের দিকে প্রায় ১২৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এই ভাষার উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। সমসাময়িক ব্যবহারের নিরিখে তামিলের পাশাপাশি চিনা ভাষাকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ভাষা হিসেবে ধরা হয়।

অনেকেই বিশ্বাস করেন, গত ৫ হাজার বছর ধরে হিব্রু ভাষার ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী, ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দেই এর উপস্থিতির নিদর্শন পাওয়া যায়। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মাত্র ৯০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ইসরায়েলের রাষ্ট্রভাষা হচ্ছে হিব্রু।

পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আজও  ঐতিহ্যবাহী লাতিন ভাষা তার অস্তিত্ব বজার রেখেছে। সংস্কৃতের মতই লাতিন ভাষাও অন্যান্য ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। রোমান সাম্রাজ্যে এর উপস্থিতির কথা জানা যায়। এখনও পোল্যান্ড এবং ভ্যাটিকান সিটিতে সরকারি ভাষা লাতিন এবং বিশ্বের কয়েক লাখ মানুষ এই ভাষা শেখেন। লাতিন ভাষার উৎপত্তি ৭৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে।

বর্তমানে সারা বিশ্বে ২৯ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় ৫১২ সিই-তে। মধ্য প্রাচ্যের বহু দেশ যেমন ইউএই, সৌদি আরব, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইজরায়েল, ইজিপ্ট, জর্ডান, কুয়েত এবং ওমানের সরকারি ভাষাই হল আরবি।


Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.