বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘জীবনানন্দের কাব্যজগৎ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবুল মনসুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে ড.বেগম আকতার কামাল বলেন "জীবনানন্দ ছিলেন একজন কালসচেতন ও ইতিহাসচেতন কবি। তাঁর কবিস্বভাব ছিল অন্তর্মুখী, দৃষ্টিতে ছিল চেতনা। তিনি 'তিরিশের কবিতা' নামে খ্যাত কাব্যধারার অন্যতম কবি। অল্পবয়স থেকেই তিনি কাব্যচর্চা শুরু করেন। তিনি কবি হলেও রচনা করেন অসংখ্য ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ। ঔপন্যাসিক ও গল্পকার হিসেবে জীবনানন্দের স্বতন্ত্র প্রতিভা লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর কবিতার ভূমিকা ঐতিহাসিক। স্বাধীনতাযুদ্ধে সংগ্রামী বাঙালি জাতিকে তাঁর রূপসী বাংলা তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করে।"
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ আবুল মনসুর বলেন "কবি জীবনানন্দ দাশ ছিলেন উজ্জ্বল ব্যতিক্রমি একজন কবি। জীবনানন্দের সৃষ্টিতে মানুষের হৃদয় ও চেতনার যে গভীর অনুভব প্রকাশ পেয়েছে, বাংলা কবিতায় এর আগে পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি তাঁর রচনায় জীবন ও সৃষ্টি নিয়ে কথা বলতেন। রূপকের মাধ্যমে তুলে ধরতেন জীবনের নানা দিক। তাঁর শব্দ, কথা ও ভাব নিয়ে আমাদের আরো গবেষণা প্রয়োজন।"
সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, "বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর সবসময়ই দেশের স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিবর্গকে স্মরণ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আয়োজন। কবি জীবনানন্দ দাশ ব্যক্তি জীবনে তিনি দুঃখী জীবন যাপন করলেও তাঁর সৃষ্টি ও কর্মের অবদান তাঁকে মহামানব করে তুলেছে। তবে জীবন দশায় নয়, কবি হিসেবে তার প্রতিভা বিকাশ পেলেও কবি হিসেবে স্বীকৃতি পান তাঁর মৃত্যুর পর।"