আবারও
বেড়েছে মার্কিন ডলারের দাম। আজ সোমবার (৬ জুন) প্রতি মার্কিন ডলারের দাম
৯১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে যা ছিল ৮৯ টাকা ৯০
পয়সা। ফলে এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলো ১ টাকা ৬০ পয়সা।
এর
আগে বৃহস্পতিবার (২ জুন) প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা
নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, যা তার আগে ছিল ৮৯ টাকা। ফলে চারদিনেই
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলো আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।
বাজার
বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল।
কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু
হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও
আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে
বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ৮৫ টাকা ছাড়ায়। এ বছরের ৯
জানুয়ারি এটি বেড়ে ৮৬ টাকায় পৌঁছে। এরপর ২২ মার্চ পর্যন্ত এ দরেই স্থির
ছিল। পরে গত ২৩ মার্চ আন্তঃব্যাংকে আরও ২০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায়
দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ১০ মে বাড়ে
আরও ২৫ পয়সা। ১৬ মে বাড়ে ৮০ পয়সা। ২৩ মে বাড়ে ৪০ পয়সা। এরপর গত ২৯ মে
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এরপরও
বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস
অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯
মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়।
আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য বিসি সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা
১৫ পয়সা।
যদিও ব্যাংকগুলো আন্তব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের বিনিময়
মূল্য ৮৯ টাকা ৮০ পয়সার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তাতেও বাজার স্থিতিশীল না
হওয়ায় আজ ১ টাকা ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এ
যাবতকালের সর্বোচ্চ মূল্য। খোলা বাজারে প্রতি এক ডলারের মূল্য রাখা হচ্ছে
১০০ থেকে ১০২ টাকা পর্যন্ত।