চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনে নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। আজ সোমবার আইএলও’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এখন সরকার, প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।’ বিবৃতিতে এ সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরিবহন ও লজিস্টিক সেক্টরে নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন, আহত ও অক্ষম শ্রমিকসহ নিহতদের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। এছাড়া পরিবহন বা লজিস্টিক পরিষেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি জরুরি সেবাপ্রদানের দিকে লক্ষ্য রাখারও তাগিদ দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আইএলও'র মতে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মধ্য দিয়ে বেশকিছু দুর্বল দিকের চিত্র ফুটে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রাসায়নিক দ্রব্য মজুতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা, জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের ভিড় এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা। এসব ক্ষেত্রে দুর্বল দিকগুলো কাটিয়ে উঠতে তাগিদ দিয়েছে আইএলও। সংস্থাটি আরও বলছে, সম্প্রতি সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে একটি আধুনিক 'এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম' (ইআইএস) চালু করতে সম্মত হয়েছে, যা তৈরি পোশাক খাত থেকে শুরু করে অন্যান্য খাতেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই স্কিমে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, দ্রুত ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিপূরণ এবং কাজে ফেরানোর ব্যবস্থা গ্রহণের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চায় আইএলও। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের সুরক্ষায় আইএলও সব পক্ষকে নতুন করে উদ্যমী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। কার্যকর ও নিরাপদ শিল্পের কাঠামো তেরিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়াসহ যাবতীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে আইএলও।