দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ইউনিট।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) সামনে স্থাপিত বুথে নমুনা সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল। সকততাল সোয়া ১০টার দিকে একজন নিহতের মেয়ে নমুনা দেওয়ার জন্য আসেন।
এর আগে সোমবার (৬ জুন) ২১ পরিবারের ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ সদস্যের পরিবারও রয়েছে।
সিআইডি চট্টগ্রামের ফরেনসিক ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের হেল্প ডেস্ক থেকে জানানো হয়েছে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহদের মধ্যে ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। তবে এখনো ১৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি।
এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪১। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন ২৩০ জন। এর মধ্যে পুলিশের ১০ ও ফায়ার সার্ভিসের ১৫ সদস্য রয়েছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।