চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে বিপুল সংখ্যক হতাহত মানুষকে উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
অন্যান্য সংগঠনের মতোই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনও সেসময় দগ্ধ ও আহতদের হাসপাতালে নেওয়া, রক্ত-ওষুধ-চিকিৎসা উপকরণ জোগানোসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে।
গত শনিবার (৪ জুন) রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর যখন আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া শুরু হয় তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের হেড অব কমিউনিকেশন সালমান খান বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে আমাদের দুটি টিম কাজ করেছে। রেসকিউ টিমের লোকজন আহত ব্যক্তিদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলে আমাদের চিকিৎসক, নার্সদের একটা টিম কাজ করেছে। বাকি চিকিৎসকদের তারা সাপোর্ট দিয়েছে। পরদিন সকালে আমাদের একটা টিম মরদেহ বের করার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু রক্ত বা অন্যান্য চিকিৎসাসরঞ্জাম পর্যাপ্ত আছে সে কারণে আমরা এখন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে কাজ করবো। এই মানুষগুলো যখন সুস্থ হবে তখন তাদের কিছু করার থাকবে না, অনেককে চিকিৎসার বোঝা টানতে হবে। আমরা আহতদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিচ্ছি। তাদের যদি একটা ইনকাম সোর্স করে দিতে পারি, সেভাবে পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি। যাতে করে ওই পরিবারটা চলতে পারে সেই ব্যবস্থা করছি। ঠিক কতজনকে সাহায্য করতে পারবো এটা আসলে নির্ভর করবে আমরা কী পরিমাণ রেসপন্স পাচ্ছি তার ওপরে। সবচেয়ে বেশি মানুষকে যেন সাহায্য করতে পারি সেই চেষ্টা তো থাকবেই।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।