সব রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে
অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য
সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন
কমিশন স্বাধীন থাকবেন এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অধীন হবেন। আইন অনুযায়ী কমিশন স্বাধীনভাবে
তাদের কাজ সম্পাদন করে থাকে। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সরকার সহায়তা করে। স্বাধীনভাবে
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সরকার ও নির্বাহী কর্তৃপক্ষের আবশ্যিক দায়িত্ব।
আশাকরি সব রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও
সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা
পালন করে আসছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিবেশ
সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আন্তরিক এবং ইতিবাচক ভূমিকা পালন
করে থাকে।
সরকারপ্রধান বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ দলীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্ন
করার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান কমিশন সংবিধান ও প্রচলিত আইনের অধীনে জাতীয়
সংসদসহ সব ধরনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর।জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের
প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেগাপ্রকল্প অনুমোদনের আগে যথাযথ আর্থিক ও অর্থনৈতিক
বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের বিরূপ কোনো প্রভাবের সম্ভাবনা নেই।
যে কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর অধিকাংশ বৈদেশিক ঋণ/অনুদান
সহায়তায় গ্রহণ করা হলেও ঋণগুলো নমনীয় প্রকৃতির। সুদের হার তুলনামূলক কম এবং ঋণ পরিশোধের
মেয়াদ ও গ্রেস পিরিয়ড়ও অনেক। উন্নয়ন সংস্থার দেওয়া ঋণের অর্থ অবমুক্তির ক্ষেত্রে বড়
ধরনের কোনো জটিলতা দেখা যায়নি।