× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সরকারের ৩ বছরের কার্যক্রমের উপর বিশিষ্টজনদের মন্তব্য

জনগণের প্রত্যাশা পুরণে আরও কাজ করতে হবে

শাহিন বাবু

০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:২৮ এএম । আপডেটঃ ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:২৯ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি বাক বদল হয়। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আরো দুটি সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, একটানা ১২ বছর তিনবার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় রয়েছে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দলটি। আজ তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্বপালনের তৃতীয় বর্ষপূর্তী পালন করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার। দলটির সর্বশেষ মেয়াদে থাকা নিয়ে কি ভাবছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা? আজ ও আগামীর বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি এবং নানান বিষয় নিয়ে সংবাদ সারাবেলার সাথে কথা বলেছেন তারা। 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্বপালনের বর্ষপূর্তিতে প্রতিক্রিয়ায় সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) হারুন অর রশিদ  সংবাদ সারাবেলাকে বলেছেন, সব থেকে বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম অয়ের দেশে পরিণত হওয়া। অবকাঠামো উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। তিনি বলেন -পদ্মা সেতু বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো, সেখানে সফল হয়েছে সরকার। 

বাংলাদেশ এতোদিন ঋণগ্রহীতা দেশ ছিলো, এখন সেখান থেকেও বেরিয়ে এসেছি আমরা।  রোহিঙ্গা একটি বড় ইস্যু ছিল বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই সেনা প্রধান । তিনি বলেন- প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদেন পূনর্বাসনে ভাসান চরে পদক্ষেপ নিয়েছেন। সার্বিক বিবেচনায় গত বছরগুলোতে সরকারের অর্জিত লক্ষমাত্রায় হারুন অর রশিদ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সামনের দু’বছরে আরো বেশ কিছু অর্জন বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে বলে তিনি মনে করেন।

 তবে তিনি বলেন, স্থাণীয় সরকার কাঠামোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  গণতন্ত্র সুসংহত হয়নি, জণগণের ক্ষমতায়ন হয়নি বলে মনে করেন তিনি। স্থানীয় সরকার অবকাঠামোকে শক্তিশালি করার পাশাপশি ক্ষমতায়ন জরুরি।

সংবাদ সারাবেলাকে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ সাম্যবাদের চেতনা আজ ভুলুন্ঠিত।  ধনি দরিদ্রের বৈষম্য  ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে ব্যর্থদের জবাবদিহিতার আওতায় আনাটাও জরুরি।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি শিক্ষাবিদ ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সারাবেলাকে বলেন,  একাদশ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গঠিত সরকার সবকিছুতেই সফল। অতিমারি করোনা মোকাবিলা করেছে সরকার। অনেক সফলতার বাস্তব গল্প রয়েছে। সরকার অনেক কাজ করছে। চেষ্টা করছে দেশকে একটি উচ্চতায় নিয়ে যেতে।

ড. নাজমুল বলেন, একটি রাজনৈতিক দল বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি থাকে। ক্ষমতা মিউজিক্যাল চেয়ারের মত। ক্ষমতা আসবে যাবে এটাই বাস্তবতা। বর্তমানে সরকারে থাকা আওয়ামীলীগকে বড় ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। ভিন্নমত প্রকাশের জায়গাটি প্রসারিত হতে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের জায়গাটি আরো মজবুত হতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানোর কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে দলীয় মার্কা তুলে নেওয়ার কথা বলেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি শিক্ষাবিদ ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। তিনি বলেন, সবাই প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন, কেউ কাজ করতে চায় না।

বাংলাদেশ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম সংবাদ সারাবেলাকে বলেছেন, মুলত: সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক বিকাশের ক্ষেত্রে অনেক কাজ করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তীতে অন্য যে কোন সরকারের চাইতে অনেক বেশি অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গত মুক্তিযুদ্ধ এবং  বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারন করে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে কাজ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। গত  করোনা মহামারি প্রকট সময়ে সরকারের প্রতিটি উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তবে যারা থিয়েটার করি তাদের বেশ কিছু প্রত্যাশা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম গ্রুপ থিয়েটারের জন্য নিজস্ব জায়গার বন্দবস্ত করা। তিনি দলগুলোকে সরকারের নিয়মিত পরিচর্চার জন্য দাবি জানান।

ঢাকাবাসী সভাপতি শুকুর সালেক সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, অনেক দেশ করোনাকালীন সময়ে টিকা সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশ সরকার তার বিশ্বযোগাযোগে দক্ষতার পরিচয় দেয় সেসময়। বুস্টার ডোজ পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো মানুষের ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

শুকুর সালেক বলেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার অনেকটাই হতাশ করেছে। করোনাকালেও বাজারের পণ্যমুল্য তুলনামূলক কম ছিলো। সাধারন মানুষের কাছে  বাজার নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা একটা ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তিনি। নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের মুখে তখনই হাসি ফোটে যখন তারা তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বাজার করতে পারে। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে-মন্তব্য করেন তিনি।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.