ডলারে অতিরিক্ত মুনাফা করায় ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার এসব ব্যাংকের এমডিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে এসব ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ব্যাংকগুলো হলো- বিদেশি মালিকানার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বেসরকারি ব্র্যাক, দ্য সিটি, সাউথইস্ট, ডাচ্-বাংলা ও প্রাইম ব্যাংক। আরও কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ডলারে অতিরিক্ত মুনাফা করায় গত বুধবার ৬টি ব্যাংকের এমডিদের শো'কজ করা হয়েছে। সঙ্কটের এ সময়ে আরও কোনো ব্যাংক অনেক বেশি মুনাফা করেছে কি না, সে বিষয়ে পরিদর্শন চলছে। সেখানে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে শো'কেজ নোটিশ পাওয়া একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমকালকে বলেন, 'এসব নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা আমাদের জন্য বিপদ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কেউ-কেউ মনে করেন, আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় কথা বলে বাজার অস্থিতিশীল করেছি। তবে তা দিয়ে তো আর কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। যে কারণে বেশি মুনাফার কথা বলা হচ্ছে।'
বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করেছে। তাদের অতি মুনাফা প্রবণতা বাজারে অস্থিতিশীলতার অন্যকম কারণ। গত ৮ আগস্ট ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে ওএসডি করে মানবসম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করতে বলা হয়।
তিনি আরও জানান, গত মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাংক যে দরে ডলার কিনবে বিক্রি করবে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি দরে। তবে কোনো ব্যাংক তা মানেনি। এ বাস্তবতায় গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার সঙ্গে বৈঠক করে আবরও প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১ টাকা মুনাফার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এবারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে কিনা নিয়মিতভাবে তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।