ভারতকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আলাদা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যারই সমাধান করা যায়।
এদিকে, সোমবার নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর।
বৈঠক শেষে ভারতীয় মন্ত্রীর বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রিফিংয়ে জানান, তারা আমাদের বলেছে যে, ভারত সেখানে (রাখাইন রাজ্য) সৃষ্ট অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ভালো। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়াতে তাদের প্রস্তাব দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও টেক্সটাইল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোস।