মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের (রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প) ইউনিট-১ এর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আরও ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তারা।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি স্থাপন করছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। দেড় বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি মূলত ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি যৌথ উদ্যোগ।
দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সংকট কাটিয়ে উঠতে বর্ধিত সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ৭টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পাশাপাশি ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধন করা ৫টি প্রকল্প হলো—
১. মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের (রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প) ইউনিট-১।
২. খুলনার রূপসা রেলসেতু।
৩. বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৫টি প্যাকেজে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্মাণ সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ।
৪. খুলনা দর্শনা রেললাইন সংযোগ প্রকল্প।
৫. পার্বতীপুর-কাউনিয়া মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজ লাইন রূপান্তর প্রকল্প।
এর আগে হায়দ্রাবাদ হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। তাকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।