× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ড্রোন

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩:৫৭ পিএম

মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনে একটি অত্যাধুনিক ড্রোন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ডকেও ড্রোনসমৃদ্ধ করা হচ্ছে।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির আগের বৈঠকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। রোববারের বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতি জানানো হয়। 

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সীমান্তে নজরদারি ও সার্বিকভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজিবিতে ড্রোন/ইউএভি সংযোজনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, এ বছরের জুনে কোস্টগার্ড দুটি অত্যাধুনিক ও উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ ফটোগ্রাফি ড্রোন কিনেছে। ভাসানচরে একটি এবং মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনে আরেকটি ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। 

বৈঠকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, সীমান্তে উত্তেজনার কারণে চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পর্যটকরাও ওই অঞ্চলে যেতে ভয় পাচ্ছেন। 

তিনি বলেন, আপস চিন্তা বাদ দিয়ে কাউন্টার গুলির মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিতে হবে। 

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমার থেকে যাতে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে-প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। 

জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ বলেন, সীমান্তে ড্রোন দিয়ে নজরদারি করার সুপারিশ করেছিল কমিটি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ও একমত হয়। বর্তমান ভাসানচরসহ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ড্রোন দিয়ে নজরদারি চলছে। বিজিবির মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে।

কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৩০০ ফুট (পূর্বাচল রোডে) এলাকার কাশবনসহ জঙ্গল পরিষ্কার করে ডাকাতি বন্ধে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে ট্যুরিস্ট পুলিশ বা শিল্প পুলিশের আদলে পূর্ণাঙ্গ সাইবার ক্রাইম ইউনিট খোলার সুপারিশ করা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আগারগাঁও এবং বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে সিনিয়র সিটিজেনসহ অন্য বিশেষায়িত ব্যক্তিদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপন ও যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.