জাতিসংঘের
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী সুখী দেশের তালিকায়
বাংলাদেশের সাত ধাপ এগিয়ে
যাওয়াই প্রমাণ করে দেশের মানুষের
সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ
এ মন্তব্য করেন।
আজ শনিবার
(১৯ মার্চ) বিকেলে
রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় একথা বলেন
তিনি।
মন্ত্রী
বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ সুখী ইনডেক্সে সাত
ধাপ এগিয়েছে। আগে ১০১তম ছিল
এখন ৭ ধাপ এগিয়ে
৯৪তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। ইনডেক্সে ভারতের
অবস্থান ১৩৬ এবং পাকিস্তানের
অবস্থান ১২১।
তিনি আরও বলেন,
এই করোনা মহামারির মধ্যে যখন বিশ্ব অর্থনীতি
চাপের মধ্যে আছে, অনেকের মতে
বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে, সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের যে সুখ-সমৃদ্ধি
বেড়েছে, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্সে বাংলাদেশের সাত ধাপ অগ্রগতিই
তার প্রমাণ।
যদি বিএনপি
ও তাদের মিত্ররা ক্রমাগতভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না থাকতো, অপপ্রচার
না চালাতো এবং দেশের মানুষকে
নানাভাবে অসুখী করার অপচেষ্টায় নিয়োজিত
না থাকতো, তাহলে মানুষের সুখ সমৃদ্ধি আরো
বাড়তো, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্সে আমরা আরো এগোতে
পারতাম বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন,
বিএনপি প্রতিদিন অপপ্রচার চালাচ্ছে, প্রেসক্লাবের সামনে, পল্টনে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করে
মানুষকে অসুখী করার চেষ্টা করছে।
তাদের এই অপচেষ্টার মধ্যে
৭ ধাপ এগিয়ে যাওয়া
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই সম্ভবপর হয়েছে।
তিনি আরওবলেন,
আশা করি বিএনপি মানুষকে
ক্রমাগতভাবে অসুখী করার যে অপচেষ্টা
চালাচ্ছে এই রিপোর্টের পর
তারা তা থেকে নিবৃত
হবেন। আশা করবো, তারা
সরকারকেও অভিনন্দন জানাবেন।
এ সময় বাজারে টিসিবির
পণ্য বিক্রির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন,
যুদ্ধ ও করোনা পরিস্থিতির
কারণে সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য
বেড়েছে। সরকার
এক কোটি পরিবার অর্থাৎ
প্রতি পরিবারে পাঁচজন থাকলে পাঁচ কোটি মানুষকে
টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা
নিয়েছে, যেখানে প্রতি কেজি চাল ৩০
টাকা, আটা ১৮ টাকা,
চিনি ৫৫ টাকা, মশুর
ডাল ৬৫ টাকা, পেঁয়াজ
৩০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার
১১০ টাকা। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির যে আঁচড় বাংলাদেশে
লেগেছে, সেটি থেকে নিম্ন
আয়ের মানুষ যেন মুক্তি পায়,
সরকার তার যথাযথ ব্যবস্থা
গ্রহণ করেছে।