× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন আজ

২০ মার্চ ২০২২, ২৩:৩৮ পিএম

দেশের প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের  অপেক্ষায় রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

পটুয়াখালীর পায়রা নদীর তীরে এক হাজার একর জমিতে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার এ উপলক্ষে কলাপাড়ায় আসছেন তিনি।

তিন নদীর মোহনামুখে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ছয় বছর আগে স্থানও নির্বাচন করে গিয়েছিলেন তিনি।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন ও ফলক উন্মোচন করার সূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। দুপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করার কথা রয়েছে তার।

২০১৪ সালে শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) মধ্যে যৌথ উদ্যোগে এ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়। পরে গঠিত হয় বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় পায়রার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এনইপিসি ও সিইসিসি কনসোর্টিয়াম।

প্রায় আড়াইশো কোটি মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের এপ্রিলে; ছয় মাস পর অক্টোবরে চালু হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় ইউনিটের।বড় অঙ্কের এ নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ ঋণ দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক ও চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ঠিক করা হয় ৬ টাকা ৬৫ পয়সা। তবে নানা জটিলতার কারণে কেন্দ্রটির উৎপাদনে আসে দুই বছর পর।

যদিও ২০২০ সালের মে থেকেই কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করে। ওই বছরের শেষ দিকে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয় দ্বিতীয় ইউনিটও। ইতোমধ্যে সঞ্চালন লাইনের সক্ষমতা অনুযায়ী মোট ৫৫০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।

রোববার উদ্বোধনের আগের দিন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা এ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের জন্য। দেশে এত বৃহৎ এবং সর্বাধুনিক প্রকল্প হয়নি কখনও। এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় এবং বিশ্বে ১১তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্ট চালু করেছে।

“আজ থেকে পাঁচ বছর আগের জনপদ আর এখনকার জনপদ দেখলে বিশ্বাসই হচ্ছে না। কী জনপদ কী হয়ে গেছে! এই পরিবর্তনকে মাথায় রেখেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই স্থানটিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। একই আদলে একই টেকনোলজি দিয়ে এখানে আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।“

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু সম্পন্ন হওয়ার পর এই অঞ্চলে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হবে। সেই চাহিদা পূরণের কর্মযজ্ঞ চলছে। বর্তামান কয়লার মূল্য বিবেচনায় নিলেও এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অন্যসবগুলোর চেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.