নানা অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকারসহ ৭১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) কমিশনের সিদ্ধান্তের পর এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে অনুসন্ধান টিমের প্রধান করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, অনুসন্ধান মাত্র শুরু হয়েছে। এখন এটা অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার বিষয়। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ঠিক করবেন কীভাবে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের তথ্য-ঊপাত্ত সংগ্রহ করা হবে।
দুদকের আমলে নেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৬ সালে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৭১ জন কর্মকর্তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়। এছাড়াও দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটিতে ঘুষ বাণিজ্য করা হয়। অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনের জন্য সরেজমিনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অফিসে প্রথমে ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তারা কথা বলেন।
আরও জানা যায়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষে বিভিন্ন পদে ৭১ জন কর্মকর্তা নিয়োগের নিমিত্তে নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করে। সেই পরীক্ষায় খাতার প্রথম পৃষ্ঠায় নাম, ক্রমিক নম্বর ও পদের নাম লেখার নির্ধারিত ছক থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের খাতার ওপর নাম ও রোল নম্বর লিখতে নিষেধ করা হয়। এর পরিবর্তে তাদের পৃথক সাদা কাগজ সরবরাহ করে তাতে পরীক্ষার্থীদের নাম ও রোল নম্বর লিখতে বলা হয়। এছাড়া সকালে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় বিকেলে অংশগ্রহণকারীদেরও একই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।
নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরপরই অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগসহ প্রয়োজনীয়স কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।