ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাতের পর পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা ইডি।
নাম পাল্টে আত্মগোপনে থাকা বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে ‘তদন্তের স্বার্থে’ পাঁচজনকে আগামী ১৭ মে মঙ্গলবার পর্যন্ত রিমান্ড মঞ্জুর করেছে পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত বলে খবর দিয়েছে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন।
পত্রিকাটির অনলাইনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এছাড়া এদের সঙ্গে গ্রেপ্তার এক নারীকে আদালত মঙ্গলবার পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেয়।
ওই প্রতিবেদনে পি কে হালদারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের সম্পত্তি ও অর্থের নথি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে
আর গ্রেপ্তার ওই নারী পি কে হালদারের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা বলে খবর এসেছে অন্য সংবাদ মাধ্যমে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তার ভাইও রয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে।
আগের দিন কলকাতার অভিজাত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের সম্পদের খোঁজে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অন্তত ১০ জায়গায় তল্লাশির কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
ওই অভিযান শেষ ঘোষণার আগেই শনিবার বেশ কয়েক বছর ধরে ফেরারী পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ইডির গোয়েন্দারা ব্যাংক জালিয়াতি ও অর্থপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে জানা যায়।
বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদারের বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সামনে আসার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে নামলে গা ঢাকা দেন তিনি। তার কানাডায় পালিয়ে থাকার গুঞ্জণও ছিল।
অবশেষে তার পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়ার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন বলে জানিয়েছেন।
পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, “বাংলাদেশের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, কোম্পানির কর্ণধার প্রশান্ত এপারের অশোকনগরে আত্মগোপন করে আছেন। শুধু তাই নয়, শিবশঙ্কর হালদার নামে জাল আধার, ভোটার কার্ড ও ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে জাঁকিয়ে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গে।
“এ রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা গোয়েন্দাদের সেই খবরই দিয়েছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দারাই। সেই সূত্র ধরেই গোপনে অভিযান চালায় ইডি। বিপুল পরিমাণের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায়।“
ইডি অভিযানে নামে পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধা, সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার এবং তাদের সহযোগীদের নামে থাকা বাড়ি ও সম্পত্তিতে।
এদের সবাইকে বাংলাদেশি নাগরিক উল্লেখ করে তাদের নামে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি রয়েছে বলে খোঁজ পাওয়ার কথাও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ইডি।
এর একদিন বাদেই পি কে হালদারের আটকের খবর এল। তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও-ও এসেছে সোশাল মিডিয়ায়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh