ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স
ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার
হালদারকে (পিকে হালদার) দেশে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে
জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় পিকে হালদারের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি
বলেন, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নিশ্চয়ই আমরা তাদের (ভারত) কাছে
সহযোগিতা চাইবো। তাকে ফেরত আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে আমাদের কাছে অফিসিয়ালি খবর আসেনি। খবর এলে
আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই
তাকে দেশে ফেরত আনার জন্য ভারতের কাছে সহযোগিতা চাইবো। তাকে ফেরত আনার
জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
শনিবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।
এর
আগে ভারতে তার বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গের
কলকাতায় পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার কাছে এই অর্থের সন্ধান মেলে।
শুক্রবার (১৩ মে) সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়
ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট
(ইডি)।
ইডি জানায়, প্রশান্ত
হালদার নামে এক বাংলাদেশি হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে
বেড়াচ্ছেন। তারই সহযোগী সুকুমার মৃধা বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ নম্বর
ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী।
এই
সুকুমার মৃধার বাড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তার অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। তার
বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাছের ব্যবসার আড়ালে বিপুল পরিমাণ বেআইনি টাকার
লেনদেন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তার
বিরুদ্ধে।
পিকে হালদারের
বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি।
তাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল
পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।