× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

২০২২ সালে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার আশা ফখরুলের

বিশেষ প্রতিনিধি

০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:১১ এএম । আপডেটঃ ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:১৫ এএম

নতুন বছর ২০২২ সালে গণতন্ত্র মুক্ত হয়ে দেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সকালে রাজধানীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই প্রত্যাশা প্রকাশ করেন তিনি। ফখরুল বলেন, ‘ইংরেজি নতুন বর্ষে আমি বিএনপি, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন ‘ আশা করছি, এই নববর্ষে ২০২২ সালে জনগণ মুক্ত হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। দেশে অবশ্যই আমরা একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।’


জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০ টায় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এবং সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গঠন করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদল ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে গতকাল শনিবার দুপুরে ছাত্রসমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।             
মির্জা ফখরুল বলেন ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে লড়াই করছেন। আজকে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমান সাহেবের মাজারে জিয়ারত করে তারা শপথ নিয়েছে যে, দেশনেত্রীর মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার চলমান আন্দোলন আরো বেগবান করবে। ২০২২ সালে তা সফল হবে ইনশাল্লাহ।’  
 এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘তাঁকে যে বন্দি রাখা হয়েছে এবং তাঁকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই। আজকে তাঁকে যে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না সেটা কোনো আইনি ব্যাপার নয়। এটা প্রতিহিংসার বিষয়।’    
 
ফখরুল অভিযোগ করেন ‘ আজকে শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই এই ধরণের একটা অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন যাতে করে দেশনেত্রী কোনো চিকিৎসার সুযোগ না পান। যে অসুখটা তাঁর (খালেদা) রয়েছে তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান এটাই তারা চাচ্ছে। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই এর দায় দায়িত্ব সবই সরকারকে বহন করতে হবে এবং এর পরিণতি যদি খারাপ হয় তারও দায় তাদেরকে নিতে হবে।’


রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন ‘আমরা এই সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি। আমরা মনে করি যে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট কোনো নির্বাচন কমিশন গঠনের সংকট নয় বা আইন তৈরি করার সংকট নয়। প্রধান যে সংকট তা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন রকম সরকার থাকবে ? সেটাই হচ্ছে প্রধান সংকট।’

ফখরুল বলেন ‘ যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে তা হলে সেই নির্বাচনের কোন মূল্যই হতে পারে না কোন অর্থই হতে পারেনা। অবশ্যই নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে, যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।’  গত ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে।





Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.