আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, জিয়াউর রহমান ময়মনসিংহের ১১জন ছাত্রকে হত্যার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতির ওপর আঘাত করা শুরু করেছিলেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রয়াত কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান, আব্দুল মান্নান ও বদিউজ্জামান বাদশার স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রয়াত কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান, কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ও কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার সঙ্গে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তাদের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল। রাজনীতি সম্পর্কে তাদের অত্যন্ত স্বচ্ছ ধারণা ছিল। সৎ সাহস ও দৃঢ়তা ছিল।
তিনি আরো বলেন, দেশের কৃষিবিদরা যেমন জাতীয় রাজনীতি ও নেতৃত্বে অবদান রাখছেন, তেমনি বিভিন্ন জায়গা, পেশাগত কাজে দক্ষতা ও সফলতার পরিচয় দিচ্ছেন। এটি আমাদের জন্য গৌরবের ও সম্মানের।
আমির হোসেন আমু আরো বলেন, জিয়াউর রহমান ময়মনসিংহের ১১জন ছাত্রকে হত্যার পর সেই দুঃসময়ে প্রয়াত এই তিন নেতাই (কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান, আব্দুল মান্নান ও কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা) মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র রাজনীতি ধরে রাখেন। সংগঠনকে শক্তিশালী কও ব্যাপ্তি করেন। শুধু তাই নয়, ময়মনসিংহের সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতেও সেসময়ে তারা ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি মো. হামিদুর রহমান, সাহাদারা মান্নান এমপি, অনুপম শাহজাহান জয়, রাগিব হাসান ভাষণ। এতে সর্বস্তরের কৃষিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।