তথাকথিত উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে সরকার মানুষকে দুর্ভোগে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার এত চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। সবসময় বলছে, তারা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন বেশি। অথচ গতকালের ব্যাপারটা (বিদ্যুৎ বিপর্যয়) হচ্ছে অস্বাভাবিক। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেছে প্রায় সারাদেশে। আট ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে বহু প্রজেক্ট করেছে, টাকা-পয়সা বানিয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের বড় দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে জাতিকে তারা ফেলে দিয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বহু সমস্যা হয়ে গেছে। নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে, কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে অসহনীয় পরিস্থিতি জাতিকে পার করতে হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাস্তার যে বিভ্রাট ঢাকা শহরে। টঙ্গী থেকে উত্তরা পর্যন্ত আসতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সব ক্ষেত্রে দেখবেন উন্নয়নের কারণে সমস্যা-ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।
২৯ প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এটা ভয়াবহ ব্যাপার। আমরা যে বলে আসছি, কর্তৃত্ববাদী সরকার, এটা তার বহিঃপ্রকাশ। সরকার যে আরও নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে, দেশকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে, মানুষকে তথ্য থেকে বঞ্চিত করবে, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। এখন আর কোনো ফাঁক রইলো না। এ কথা বলতে যে, স্বয়ং রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে যদি এমন সার্কুলার আসে, তাহলে এ দেশ যে পুরো কর্তৃত্ববাদী হয়ে গেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই।