জামাত-বিএনপি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের অহংকার ও গর্বের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৭১'সালে ২৫ নভেম্বর ঘাটারচরে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাজ্ঞের শিকার সেই বীরদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে শহীদদের গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আইন করেই পঁচাত্তরের খুনীদের রক্ষা করে নাই; তাদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতি করা হয়েছিল। জয় বাংলা নিষিদ্ধ করেছিল। দালাল আইন বাতিল করে একাত্তরের রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছিল। শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। গোলাম আজমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। যার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল। এরপরও আমাদের বলতে হবে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে খুন করে নাই!
অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান ৮১ সাল পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। এর মধ্যে ১৮টি ক্যু হয়েছিল। যেখানে জিয়াউর রহমান বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিলেন। এখনো অনেক পরিবার জানেনা তাদের সন্তান কোথায় আছে। গুম-খুন-হত্যায় জিয়াউর রহমান পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড তৈরি করেছেন।
৭১' শহীদ পরিবার স্মৃতি সংসদের সভাপতি অ্যাড. এনামুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, সহ সভাপতি শফিউল আজম খান বারকু, শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ।