× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি

উমর ফারুক

০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২৩ পিএম

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ। দিনটি যতই ঘনিয়ে আসছে ততই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে দলটি। গণসমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতিমুলক সব ধরনের কাজে বাধার মুখোমুখি হচ্ছে দলের নেতারা। এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি গণসমাবেশস্থল। এনিয়ে ডিএমপি ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। ডিএমপি রাস্তায় বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে গণসমাবেশ ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছে র‌্যাব। গণসমাবেশের আগে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। নেতাদের বাড়ি-বাড়ি পুলিশ হানা দিচ্ছে। পুরনো মামলাগুলোয় প্রেপ্তার ও পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি নেতা ইশরাকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  তবে, সবধরনের ষড়যন্ত্র হামলা মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি মোকাবিলা করে ১০ ডিসেম্বেরের গণসমাবেশ সফল করবে বলে বিএনপির শীর্ষনেতারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ঢাকায় গণসমাবেশের জন্য নয়াপল্টনের বিকল্প হিসেবে আরামবাগ চেয়েছে বিএনপি। আরামবাগ সিএনজি পাম্পের সামনের সড়কে সমাবেশ করতে চায় দলটি। রোববার এবং সোমবার মৌখিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টন দেওয়া না হলে বিকল্প হিসেবে এই প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। দলটির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দলীয় সূত্রমতে, সংঘাত ও চলমান ধরপাকড় এড়ানোসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কৌশলের অংশ হিসেবে কিছুটা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছে বিএনপি। সে কারণে বিকল্প এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে আরামবাগ সড়কের ওপর বিকল্প ভেন্যুর কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান। তবে, সমাবেশের জায়গা নির্ধারনে আজ চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গণ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সাধারন মানুষের মধ্যে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প প্রস্তাব এলে সেটা বিবেচনায় নেওয়া হবে। বিকল্প স্থান যদি আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়, যদি নিরাপদ মনে হয় সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে। এই মুহূর্তে বিকল্প নাম বলা যাচ্ছে না। নয়াপল্টনে আমাদের সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত আছে।

তিনি বলেন, সরকার ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যতই ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করুক না কেন, তাতে আমাদের নেতাকর্মীরা ভীত নয়। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করেই বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশে ছাড় দেওয়া হলেও ঢাকায় সমাবেশে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হবে নাÑ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। ওবায়দুল কাদের উনি তো এখন প্রলাপ করছেন। ছাড় দেওয়ার কি আছে, তাছাড়া ছাড় দেওয়ার উনি কে? তিনি বলেন, সারা দেশে আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করব। সেই সমাবেশে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমের হয়ত ঘোষণা আসতে পারে।

এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি নেতা ইশরাকের বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সোমবার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বৃহস্পতিবার মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন হাজিরা দেন। রিজভীসহ তিনজন আদালতে হাজির হননি। এজন্য বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ২৯ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের কাজের অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি মিন্টু রোডের ইস্কাটন হয়ে মাতুয়াইলের দিকে যাচ্ছিল। পথে কাকরাইলের বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় গাড়িচালক আয়নাল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে ফখরুলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও শফিকুল বারী বাবু। চলতি বছরের ২ মার্চ রাজধানীর হাতিরঝিল থানার পৃথক দুই মামলায় রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। ২৫ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালত।

অপরদিকে, গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এ মামলায় গত ৬ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। গ্রেফতারের পরই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ইশরাকের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে ওইদিনই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তামান্না ফারহার আদালত। গত ১২ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ইশরাক জামিনে ছিলেন। গতকাল সোমবার তিনি আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আসামিরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান ভুইয়া।

এদিকে, গণসমাবেশ ঘিরে প্রশাসনও হাডলাইনে । ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি পাবে না বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নাকি নয়াপল্টন, বিএনপিকে কোথায় সমাবেশ করতে দেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাঠ ছাড়া রাস্তা-ঘাটে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাদে অন্য কোনো স্থানের নাম এখনো প্রস্তাব করেনি বিএনপি। অন্যদিকে, গণসমাবেশ ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাব প্রস্তুত আছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশ ঘিরে যেকোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। নাশকতার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে র‌্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা। সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ ঘিরে র‌্যাবের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারি ও বিরোধী দল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। র‌্যাব সাধারণত জঙ্গি দমন, মাদক কারবারি, অস্ত্রধারী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে আস্থা অর্জন করেছে।তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিদেশি স্থাপনা ও অ্যাম্বাসি রয়েছে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট রয়েছি। শুধুমাত্র এই জনসমাবেশ ঘিরে নয় আমরা সবসময় জননিরাপত্তা, দেশীয় ভাবমূর্তি রক্ষা, বিদেশীদের কাছে যেন দেশীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে সচেষ্ট রয়েছি। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে রুটিন পেট্রোল থাকবে, চেকপোস্ট থাকবে, সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নাশকতার চেষ্টা না হয়, সেজন্য র‌্যাবের সদস্যরা সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে।

এবিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সারাবেলা কে বলেন, গ্রেপ্তার ও আক্রমণ করে কেউ গণসমাবেশ রুখতে পারবে না।  আমরা ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে চেয়েছি। এই গণসমাবেশ কিসের জন্য? কিছু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। সমাবেশের জন্য আমরা পল্টনে অনুমতি চেয়েছি, কারণ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আপনারা সে কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অন্যদিকে যুবলীগের কাউন্সিল সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারা ঢাকা শহর সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। অথচ আমরা বাংলাদেশের বিরোধী দল আমরা কর্মসূচি করতে পারব না। কর্মসূচির আগে সারা বাংলাদেশে গ্রেপ্তার অভিযান চলে। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। আমরা সেটা চলতে দিতে পারি না। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হবে। এই গণসমাবেশ কেউ রুখতে পারবে না।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.