× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নিবন্ধনের সুযোগ আসছে নতুন দলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ মে ২০২২, ১৫:২৩ পিএম

ফাইল ছবি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সুযোগ আসছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পেলে শর্ত মেনে আবেদনের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সুযোগ আসছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পেলে শর্ত মেনে আবেদনের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান আইন ও বিধি মেনে নিবন্ধন শর্তগুলো রেখে অন্তত দুই মাস আবেদনের সময় দেওয়ার প্রস্তাব ইতোমধ্যে কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সেক্ষেত্রে নতুন দলের আবেদন পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে দলিলপত্র ও মাঠ পর্যায়ের তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে আরও কয়েক মাস লাগবে। সবকিছু শেষ করে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা সম্ভব হতে পারে।

কমিশনে আলোচনা করে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য চলতি মাসে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আভাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে- বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মোটামুটি এই মাসে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”

২০২৩ সালে ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েই অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় চলছে। এরই মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধনের বিষয়টি দ্রুত শুরুর করার প্রক্রিয়া চলছে।

বর্তমানে ইসিতে ৩৯টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। ২০০৮ সালে প্রথম নিবন্ধনের সময় ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। পরবর্তীতে নতুনদের নিয়ে এ সংখ্যা ৪৪টিতে উন্নীত হয়।

পাশাপাশি শর্ত পূরণে ব্যর্থ ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াত, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়। তাতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়ায় সেই ৩৯টিতে।

সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে নতুন দল নিবন্ধনের আবেদন চাওয়া হয়েছিল। এ জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস।

ইসির নিবন্ধন সমন্বয় শাখার এক উপসচিব জানান, বিদ্যমান আইন-বিধি অনুযায়ী নিবন্ধন শর্ত পূরণ করে অফেরতযোগ্য নিবন্ধন ফি ৫ হাজার টাকা জমাসহ ১০টি তথ্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি,  দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক একাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি, তহবিলের উৎস, দল নিবন্ধনের আবেদনকারীর ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি বাবদ অফেরতযোগ্য ট্রেজারি চালানের কপি এবং নিবন্ধন শর্তের তিনটির মধ্যে যে কোনো একটি পূরণের দলিলাদি জমা দিতে হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়।

এগুলো হল- ১. দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগ্রহী দলটি যদি অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকেন; ২. যে কোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী অংশ নেওয়া আসনগুলোয় মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ পায়। ৩. দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ [২১টি] প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন দলের নিবন্ধন পেতে তৃতীয় শর্তটি পূর্ণ করতে হবে। ১ ও ২ নম্বর শর্ত নতুন দলের পূরণের সুযোগও নেই।

২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন আইনি সংস্কার এনে নিবন্ধন প্রথা চালু করে। তাতে তিনটি নিবন্ধন শর্ত দেওয়া হয়। ভোটে নিবন্ধিত দলগুলোকেই অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

পর কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন একই বিধান বহাল রাখে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর কে এম নূরুল হুদা কমিশন নিবন্ধন শর্তের প্রথম দুটি বাদ দেওয়ার জন্যে খসড়াও প্রস্তুত করে। কিন্তু তা আর চূড়ান্ত রূপ পায়নি।

নিবন্ধিত দলের তদারকিতে আলাদা উইং?

নিবন্ধিত দলগুলোর শর্ত প্রতিপালন নিয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখার মত পর্যাপ্ত জনবল বর্তমানে ইসির নেই বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, অনেক দেশে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন দেওয়ার জন্য একটি আলাদা অথরিটি থাকে।

“তাদের কাজই হল- রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, রেগুলেশন ঠিক মতো পালন করছে কিনা, এগুলো দেখা। ২০০৮ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই জন্য আলাদা করে অতিরিক্ত জনবল নেই।”

আলমগীর বলেন, “সত্যিকার অর্থে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে- রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য জন্য আলাদা অথরিটি হলে সবচেয়ে ভালো হয়।”

এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির অফিসাররা এখন ভোটার তালিকা নিয়ে ব্যস্ত। তারপর ইভিএম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে। এনআইডি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।

“তারপর পার্টির অফিসগুলো ঠিকমত চলল কিনা কয় দিকে তারা নজর দেবে? আর উপজেলায় মাত্র দুই-তিনজন মানুষ। তাই দুই-তিনজন মানুষ দিয়ে কত কাজ করাবেন।… নেই। জেলায়, উপজেলায় চেক করা কঠিন, এর জন্য অনেক জনবল দরকার।”

কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের সামনে এখন সব কিছু ছাপিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিকেই সব মনোযোগ। ভোটের পরেই অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাববেন বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.