× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিশ্ব গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু

রঞ্জন মল্লিক

১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৯ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সত্তরের দশক থেকেই বিশ্ব গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হতে থাকেন। ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ৬ দফা দাবি প্রকাশিত হলে প্রথম শেখ মুজিবুর রহমান বিবিসির রেডিওর  বাংলা ও ইংরেজি বিভাগের শিরোনামে আসেন। এ সময় থেকে বিশ্বাসী শেখ মুজিবুর রহমানকে পূর্ব বাংলার নেতা হিসেবে চিনতে শুরু করেন। পাকিস্তান সামরিক শাসকরা তখন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তান ভাঙার নায়ক হিসেবে  চিহ্নিত করতে থাকেন। পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্র চীন ও আমেরিকার কাছে শেখ মুজিবুর রহমান বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিতি বাড়তে থাকে। সময়টি ছিল ঠাণ্ডাযুদ্ধের। ফলে সোভিয়েত ব্লক তথা ভারত ও পূর্ব ইউরোপে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিচিতি রাতারাতি বাড়তে থাকে। অল্পকিছুদিনের মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার সংবাদপত্রে শেখ মুজিব প্রথম পাতায় স্থান পেতে শুরু করেন। ’৭০ এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গেলে আবারও সংবদপত্রে বঙ্গবন্ধু দেশ-বিদেশে সংবাদ শিরোনাম হতে শুরু করেন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিমাতা সুলভ আচরন তিনি বিবিসি সহ বিশ্বগণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। আমেরিকা ভিত্তিক এবিসি টেলিভিশন সহ বিশ^গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে তা প্রচারিত হয়।

এরপর ’৭১ এর ৭ মার্চ আবারও বিশ^ গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হন শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির বাঁচা-মরার দলিল। পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা এতে বিবৃত ছিল। ২৬ মার্চ ১৯৭১ শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। তিনি আবারও সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় স্থান পান।

৮ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে আসেন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর ব্রিটেনের ক্ল্যারিজিয়াস হোটেলে বিশ্ব গণমাধ্যমের সামনে বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ সম্পর্কে সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাৎ করেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সম্বোধন করেন। এসব সাক্ষৎকার প্রচারিত হয়ে পড়লে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিচিতি রাতারাতি বাড়তে থাকে। তিনি বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রথম সারির নেতাতে পরিণত হন।

অধিকাংশ গণমাধ্যম ও ব্যক্তিত্বের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ঐতিহাসিক ক্ষণজন্মা এক মহান পুরুষ। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক বা রাজনেতিক কবি ছাড়াও নানাবিধ উপাধিতে ভূষিত করেন অনেকেই। কট্টর সমালোচক থেকে শুরু করে বিদেশী ভক্ত এমনকি শত্রুরাও উ”চকিত প্রশংসা করেন তাঁর। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব ছিল অসাধারন যা বাঙালিরা আগে কখনো দেখেনি। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন:
 নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কেবল দুর্নীতিরই জন্ম দেয়। সেই সময়ে পাকিস্তান গণপরিষদে দাঁড়িয়ে এ ধরনের বক্তব্য তার বিরাট ব্যক্তিত্ব ও সাহসের পরিচয় বহন করে। গর্ভণর জেনারেল ও গর্ভণরদের ক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি স্পিকারকে বলেছিলেন: গর্ভনরদের বেতন ৩০০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা এবং মন্ত্রীদের বেতন ১০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা এবং রাষ্ট্রদূতদের বেতন ৯০০০ টাকা করার বিরুদ্ধে যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন বলেছিলেন, আমার দেশের মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই নাই। তারা অন্ন পায় না, বস্ত্র পায় না এবং কখনো কখনো সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়েদের অন্ন-বস্ত্র সংগ্রহের জন্য ইজ্জত খোয়াতে হয়। মহোদয়, আমরা বিশে^র কাছে ঘোষণা করছি, আমরা ইসলামী দেশ এবং আমরা ইসলামের রীতিনীতির অনুসারী। তাহলে এটাকে কি ইসলামী আদর্শ বলবো। উদাহরণ টেনে বলেন, ৬০ কোটি মানুষের দেশের চেয়ারম্যান মাও সেতুং পর্যন্ত মাসে মাত্র ৫০০টাকা বেতন পান। ওয়াশিংটনে আমাদের রাষ্ট্র দূতের মাসিক বেতন ৯০০০টাকা অথচ ঐ ধনী দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আইসেন হাওয়ার এ থেকে কম বেতন পান। বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানী শাসকশ্রেণীর ভোগবাদী চরিত্রকে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসের পরিচয় বাঙালিরা পঞ্চাশের দশক থেকেই পেয়েছিলেন। তিনি রাতারাতি কোন কিছু অর্জন করেননি। পাকিস্তান আমলে রাজনীতির অর্ধেক সময় প্রায় ১২ বছর জেলে কেটেছে তাঁর। তিনি সর্বো”চ ত্যাগী নেতা ছিলেন।

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল, দেশে ফিরে ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্রিটেনের প্রথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন এবং একটি ক্ষুদ্র মন্ত্রীসভা গঠন করে কাজ শুরু করেন। দেশে তখন তিন শতাধিক রেলসেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত, চট্টগ্রাম নৌ-বন্দরের প্রবেশ পথে ২৯টি জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত, ফলে বন্দর অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সড়ক পথের অধিকাংশ ব্রিজ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয় খান সেনারা। সর্বোপরি ৭৮৫ কোটি টাকা পাকিস্তানি শিল্পপতিরা পাচার করে নিয়ে যায়। তার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সকল রিজার্ভ পুড়িয়ে ফেলে। মূলত শূন্য হাতে দেশ পরিচালনার ভার  গ্রহণ করতে হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে।

তাঁর শাসনামলের সারেতিন বছর ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল অংকের অর্থ ও কারিগরি সহায়তা বাংলাদেশ লাভ করে। এ সময় আরব বিশ্বের সাথে কুটনৈতিক চাল দেন তিনি। আবর বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে গরিমসি করছে তখন তিনি আরব-ইসরাইল বিরোধে আরবকে সমর্থন দেন। তিনি বলেন, আরব বিশ্ব আমাদের স্বীকৃতি না দিলেও তারা আমাদের ভাই। ন্যায্য সংগ্রামে আমরা তাদের পাশে আছি। এ সময় ইরাক ন্যূনতম মূল্যে পেট্রোলিয়াম বাংলাদেশকে সরবরাহ করে। দেশে তখন বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছিলো। তার শাসনামলের মধ্যে বিশ্বের ১১৬টি দেশের স্বীকৃতি বাংলাদেশ পেয়েছিলো। বাংলাদেশ পর্বত প্রমাণ সংকটের মধ্য দিয়ে সম্মানজনক একটি যায়গায় অতি দ্রুতই যাচ্ছিল।

বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান ব্যাপকভাবে সংবাদ হন কিউবায় পাট ও চা রপ্তানি করে। আমেরিকার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি কিউবার সাথে ব্যবসা-বণিজ্য শুরু করেন। এ সময় তিনি ঝটিকা সফর করেন মধ্যপ্রাচ্যে। মধ্যপ্রচারে সাথে বিশেষ করে ইরাক ও কুয়েতের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন সাধন করে তেল আমদানী শুরু করেন তিনি। তখন থেকে বেশি বেশি করে  মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ওঠতে শুরু করে।

১৯৭৪ সালে কৃত্রিম দু:র্ভিক্ষে বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে - যা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক গবেষণায় ওঠে আসে। ১৯৭৫ সালের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালেও বাংলাদেশের বন্যা ও দু:ভিক্ষ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কতটা নিরলসভাবে কাজ করেছেন তার উল্লেখ ছিল।

ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব মিডিয়ার নজর কেড়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তাকে তুলে ধরা হয়েছে মহান নেতা ও অসামান্য ব্যক্তিত্ব শিরোনামে। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণার পর পাকিস্তানী সেনাদের হাতে বন্দি হন শেখ মুজিবুর রহমান। এ ঘটনার পর নিউজ উইক ম্যাগাজিন তাঁদের প্রচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুকে পয়েট অব পলিটিকস আখ্যায়িত করে নিবন্ধ প্রকাশ করে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস তাঁকে নিয়ে লিখে বঙ্গবন্ধু না থাকলে কখনোই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিরোনাম করে- ‘ বাংলাদেশ: ফ্রম জেইল টু পাওয়ার’। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর  আরও বেশি করে বিশ^ মিডিয়ায় ওঠে আসেন তিনি। ১৯৮২ সালের ৫ এপ্রিল তাদের একটি সংখ্যায় উল্লেখ করে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দশ বছরের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের আমল ছিল সর্বপ্রথম এবং দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আমল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবকে হত্যার পর হঠাৎ গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে।

১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, পৃথিবী আজ দু’ভাগে বিভক্ত। একভাগ শোষক শ্রেণী আর এক ভাগ শোষিত। আমি শোষিতের দলে। ওই ভাষণের পর কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেছিলেন, তুমি আজ যে ভাষণ দিলে, এখন থেকে সাবধানে থেকো। আজ থেকে তোমাকে হত্যার জন্য একটি বুলেট তোমার পিছু নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ কথাটি এম.আর.আখতার মুকুলকে বলেছিলেন অন্য ভাবে যা তার লিখা বই, মুজিবের রক্ত লাল বইতে উল্লেখ আছে। এম.আর.আখতার মুকুল লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে প্রেস কাউন্সিলের দায়িত্ব নিতে ১৯৭৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর চলে যাবার প্রক্কালে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে ধানমন্ডী ৩২ নম্বর বাসায় গিয়েছিলেন। তখন শেখ মুজিব তাকে বলেছিলেন: ‘বলতে পারোস, কয়টা গুলি আমার এই বুকটা ছেদা কইর‌্যা ফেলাইবো? বাংলাদেশে যখন ফেরত আইবি, তখন আমারে আর পাইবি না। আমার কবর যেখানেই থাকবো জিয়ারত কইরা একটা সাদা ফুল দিয়া আসিস।’ ফিডেল কাস্তোর ভবিষ্যতবাণী ও বঙ্গবন্ধুর উপলদ্ধি নির্মম সত্যে পরিণত হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তির দ্রুত নেলসন ম্যান্ডেলা বঙ্গবন্ধুকে আখ্যায়িত করেছিলেন  শোষিতের অকৃত্রিম বন্ধু বলে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সংবাদ শোনার পর তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশে^র শোষিত মানুষ হারাল একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন: ‘শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। তাঁর অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।’  ফিলিস্তিনীর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইয়াসির আরাফাত বলেছিলেন- আপোসহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট।

১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় তখন তিন জনের একটি আন্তর্জাতিক টিম বাংলাদেশে এসেছিল। তাদের একজন ব্রায়ন ব্যারন। যাঁদের তিন দিন শেরাটনে আটকে রেখে তৎকাণীন সরকার সরাসরি বিমান বন্দর দিয়ে নিজদেশে পাঠিয়ে দেন। ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে লিখিত  তার সংবাদ বিবরণীতে বলা হয়, ‘শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনসাধারণের হৃদয়ে উ”চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তাঁর বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারক চিহ্ন এবং তাঁর কবরস্থান পুণ্যতীর্থে পরিণত হবে। (দি লিসনার, লন্ডন, ২৮ আগস্ট ১৯৭৬) বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সংবাদ শুনে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এতটাই দঃখ পেয়েছিলেন যে, তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, তোংমরা আমারই দেওয়া ট্যাংক দিয়ে আমার বন্ধু মুজিবকে হত্যা করেছ। আমি নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি।

নোবেল বিজয়ী উইলিয়াম ব্রান্ট বলেছিলেন, মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে।

ক্ষণজন্মা এই নেতা মাত্র ৫৫ বছর জীবিত ছিলেন। তার মধ্যে ১২ বছর ছিলেন পাকিস্তানের জেলে। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে ফিরে এসে বাঙালি জাতিকে মাত্র সাড়ে তিন বছর দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। বাঙালি জাতির এই অবিসংবাদিত নেতার আজ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫০ বছর পূর্তি। তোমার কীর্তি তোমাকে করেছে মহান। আমরা চিরজীবনের জন্য  তোমার কাছে ঋণী। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।


 


Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.