× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ফেনীর আদালতে নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি’র ছড়াছড়ি

এসএম ইউসুফ আলী, ফেনী

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০৭ এএম

ফেনীর আদালতে নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি আশংকাজনক হারে বাড়ছে। ফলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

বেআইনি এ কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মোহরারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আদালতে মামলা চলছে। নকল স্ট্যাম্প শনাক্ত করতে আদালত ভবনে মেশিনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) থেকে  চালানের মাধ্যমে ক্রয় করতে হয় স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি।

সনদপ্রাপ্ত মোহরাররা স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বাজারে বিক্রি করে। কিন্তু কিছু সংখ্যক মোহরার জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি ছাপিয়ে তারা বাজারে বিক্রি করছে। আর এসব নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফির কারণে প্রতারিত হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। 

জানা যায়,  বিভিন্ন প্রকারের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং কোর্ট ফি রয়েছে। সরকারিভাবে ২০ টাকা দামের কোর্ট ফি বাজারে না থাকায় ১০টাকা দামের ২টি দিয়ে কোর্টের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া অতিরিক্ত দামে কার্টুজ পেপার বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। 

বিগত মাসখানেক আগেও একটি নকল কোর্ট ফি আদালতের নজরে আসলে ওই মামলা গ্রহণ না করে তা ফিরিয়ে দেয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে কোর্ট ফি বিক্রির জন্য ভেন্ডারদের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ওই ভেন্ডাররা সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে কোর্ট ফি সংগ্রহ করেন। সেসব ভেন্ডাররা বিভিন্ন স্থানে বসে বিক্রি করেন। 

এর মধ্যে কিছু জালিয়াত চক্র নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফির রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শতাধিক পর্চাসহ কোর্টের বিভিন্ন আবেদনপত্রে নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিআরটি অফিসের নিচে দুই সহোদর ভেন্ডার শান্তি ও কান্তি নকল জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ও কার্টিজ পেপার বিক্রির দায়ে মামলার আসামি হয়েছেন। 

এছাড়াও জাহাঙ্গীর নামেরও এক ভেন্ডার নকল জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কার্টিজ পেপার বিক্রির দায়ে মামলার আসামি হয়েছেন। 

তবে এ মামলায় ৩জন আসামি হলেও উপযুক্ত তথ্য উপাত্ত না পাওয়ায় অসাধু একাধিক ভেন্ডার ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনজীবীরা সতর্ক রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভেন্ডার জানান, এখনো জাল ও নকল কাগজপত্র ব্যবহারের চেষ্টা করেন অসাধু কিছু সংখ্যক ভেন্ডার। কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারির কারণে তারা নকল স্ট্যাম্প বিক্রি বন্ধ রয়েছে। সময় সুযোগ বুঝে তারা নকল স্ট্যাম্প বিক্রি করে থাকে।

জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু জানান, জালজালিয়াতির ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। বিচারকদের কাছে একটি নির্দেশনা এসেছে যে কোনটি জাল কোনটি আসল সেটি চেনার জন্য মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। 

তিনি জানান, যারা ভুয়া স্ট্যাম্প বিক্রি করছে তাদের ব্যাপারে আইনজীবী সমিতিও ব্যবস্থা নেবে। ভবিষ্যতে ভুয়া স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম জানান, নকল জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রির দায়ে মামলা হয়েছে। আসামিরা কারাভোগ করেছে। আমরা চেষ্টা করেছি নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি দূর করার জন্য। এমন সমস্যা এখন নেই বলে আমাদের বিশ্বাস। তবে এরপরও যদি কেউ করে সেটি রোধে কোর্ট সতর্ক আছে এবং আমরা সতর্ক রয়েছি।

জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোমেনা আক্তার জানান, জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি নকল করে বিক্রির কোনো অভিযোগ আসেনি এবং জানাও নেই। কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ভেন্ডার লাইন্সেস ও নবায়ন বা নতুন কোন আবেদনও কেউ করছে না।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.