কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বঙ্গবন্ধুভক্ত আব্দুল কাদির। ৩০ বছর ধরে হাতে মাইক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীনতার উজ্জীবিত করার মন্ত্র ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ টি পায়ে হেঁটে হেঁটে বাজার সহ গ্রামে গঞ্জে মাইকে বাজিয়ে চলছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকেই এটি করেন তিনি । ৭ মার্চ এলেই তিনি নাওয়া খাওয়া ভুলে যান। অপেক্ষায় থাকেন কখন সকাল হবে। সকালেই না খেয়ে বের হয়ে পড়েন।
আজ ৭ মার্চ সোমবার ভোরে দেখা হয় আব্দুল কাদিরের সাথে। হাতে মাইকে বাজছে বজ্র কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চর ভাষণ। ফজরের পরই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌর এলাকার পূর্ব পাড়া মহল্লার সাবরেজিস্টার অফিসের পিছনে পরিবার নিয়ে থাকেন। পরিবার নিয়ে অসচ্ছলতার মধ্যে কষ্টে চলতে হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুভক্ত আবদুল কাদির বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সমাজের শোষিত, অবহেলিত মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার টানে এবং নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি এটি করেন ৩০ বছর ধরে। ৭ মার্চ এলে তিনি ফজরের পর না খেয়ে সজ্জিত হয়ে মাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ টি তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান । সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ঘুরে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধের ইতিহাস জানতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি। আব্দুল কাদির আরো বলেন, আমার জীবনের শেষ ইচ্ছে হলো বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে সরাসরি দেখা করা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ বসতঘরে পরিবার নিয়ে থাকেন কাদির। তার কোন জায়গা জমি নাই। ভুমিহীন পরিবার। সংসার চালাতে তাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অভাব অনটন তার নিত্য সঙ্গী। সরকারি বিভিন্ন জরুরি ঘোষণা তিনি নিজের উদ্যোগে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন। সরকারি কোন সহায়তা পেলে তার অভাব কিছুটা হলেও কমে আসবে তার। এছাড়াও নির্দ্দিষ্ট একটু জায়গা দরকার বসবাসের জন্য।