সিরাজগঞ্জে
উল্লাপাড়ায় সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ বাতাসে ভাসছে।। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে
গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা দিচ্ছে আমের মুকুল। আম বাগানের সারি
সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল আর মুকুল। মুকলে
মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। দেখতে যেন কাঁচা সোনার মতো। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এ বছর আমের
বাম্পার ফলনের আশা করছেন উল্লাপাড়া আম বাগান মালিকেরা।
মৌসুমের
শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে
বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের
গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে
বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে সফলতার স্বপ্ন।
উল্লাপাড়া
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা
পাচ্ছে কেবলই মুকুল আর মুকুল। এ
যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন।
মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।
উল্লাপাড়ার
প্রতিটি গ্রামের যেদিকেই তাকাই সেদিকেই গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত।
প্রায়
৮৫ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা
আশা করছেন, বড় ধরনের কোনো
প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উল্লাপাড়া উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে। বর্তমানে আমচাষি ও বাগান মালিকরাও
বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উল্লাপাড়া
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান , আমের বাম্পার ফলনের জন্য সব রকম তথ্য
দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছেন। আমের মুকুল যখন গুটি দানার মতো হয় তখন ছত্রাক
নাশক স্প্রে করতে হয়। আমের ফলন বেশি বেশি পেতে হলে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে বলেও জানান তিনি।