× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সোনাদিয়া বালুচরের রূপ পাল্টে দিচ্ছেন তরমুজ চাষীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

২২ মার্চ ২০২২, ০২:০৯ এএম । আপডেটঃ ২২ মার্চ ২০২২, ০২:৪৯ এএম

সোনাদিয়া বালুচরে হাস্যজ্জ্বল এক সফল তরমুজ চাষী। ছবি: সংবাদ সারাবেলা।

ধু ধু বালুচর। আগে ফসল ফলেনি, ছিল অনাবাদি। কিন্তু এখন সবুজের সমরোহ। বিস্তীর্ণ বালুচরে সবুজ লতায় মোড়ানো গাছ। এর ফাঁকে ফাঁকে রসালো ফল তরমুজ। যতদূর চোখ যাবে, শুধু তরমুজ আর তরমুজ। তরমুজ চাষের পাশা-পাশি অনাবাদি এই বালুচরে এখন ধানের চাষাবাদ ও হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

কক্সবাজার শহর থেকে পশ্চিমে সাগর গর্বে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নেরর একটি ওয়ার্ড সোনাদিয়া। এই সোনাদিয়া চরে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনাদিয়া বালুচরের সমুদ্র সৈকত ঘেঁষা বালুচরে বাণিজ্যিক এ তরমুজের চাষ হয়েছে। গত কয়েক বছর আগে শুরুটা করেন ১০-১২জন চাষী। লোকসানের ভয়ে অনেকেই তখন সাহস করেননি। কিন্তু স্বল্প পরিসরে করেও ফলন ও বাজার দর ভাল পাওয়ায় এবার আর কেউ বসে নেই, অর্ধশতাধিক চাষী বালুচরে আগাম তরমুজ চাষ করেছেন। বাম্পার ফলনে তাদের সকলের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

ওই সফল চাষীদেরই একজন রশিদ মিয়া (৫৫)। বালুচরের ৫ একর অনাবাদি জমিতে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তিনি ইতোমধ্যে ৫ দফায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। এখনও যা ফলন আছে, দুই দফা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করে রশিদ  মিয়া।

তিনি বলেন, ‘বালুচরে তরমুজ চাষে ঝুঁকি কম। বৃষ্টি বর্ষায় কৃষিজমির তরমুজ ক্ষেত ঝুঁকিতে থাকে। কিন্তু বালুচরে সেই ঝুঁকি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ সোনাদিয়া এই বালুচরে অন্তত ১০০ একর জমিতে এবার ৫০-৬০জন চাষী তরমুজ চাষ  করেছে। তাদের  মধ্যে  সকলেই  লাভবান  হবে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি শেষ।’

সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা  তরমুজ চাষি মোহাম্মদ হানিফ (৩১) বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে পাইকারি দরে গড়ে ১২০ টাকা করে তরমুজ কিনে মহেশখালী উপজেলা বিভিন্ন এলাকাসহ কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন তাঁরা।

জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিদারুল  ইসলাম  বলেন, ‘সমুদ্রতীরবর্তী সোনাদিয়া বালুচরে তরমুজ চাষাবাদে কৃষকদের সাফল্য এসেছে। সেখানকার তরমুজের স্বাদ অনেক ভাল। আগাম চাষের কারণে তারা দিগুনের চাইতেও বেশি দাম পাচ্ছেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তারা বিক্রি শুরু করতে পেরেছেন। যে কারণে আগামীতে কৃষকরা আরও উৎসাহিত হবেন।’

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.