সুইজারল্যান্ডের একটি আদালতে চলমান আর্থিক দুর্নীতির মামলা থেকে পুরোপুরি খালাস পেলেন ফিফার সাবেক সভাপতি সেফ ব্লাটার এবং ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফার সভাপতি মিশেল প্লাতিনি।
১১দিন ধরে টানা চলছিল আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানি। সেই শুনানি শেষে বিচারক রায় দিলেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন ব্লাটার এবং প্লাতিনি। সুতরাং, তারা বেকসুর খালাস।
ব্লাটার এবং প্লাতিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে প্রায় ২.৬ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশের টাকয় প্রায় ২০ কোটি) টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেন দু’জনই। তারা জানান, প্লাতিনির কিছু কাজের জন্য ফিফা দেরিতে পারিশ্রমিক দেয়। শুক্রবার ব্লাটার কোর্টে বলেন, ‘জীবনে অনেক অনৈতিক কাজ করেছি; কিন্তু এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। আমি নির্দোষ।’
সুইজারল্যান্ডে ১১ দিন ধরে শুনানি চলছিল। ২২ জুন শুনানি শেষ হয়। রায় বেরুলো শুক্রবার। ২০১৫ সাল থেকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ব্লাটার এবং প্লাতিনি। ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক প্লাতিনিকে উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দিতে বলেন ব্লাটার। সে সময় প্লাতিনি প্রায় আট কোটি টাকা প্রতি বছর পারিশ্রমিক হিসাবে দাবি করেন। ব্লাটার দিতে চাননি। তিনি প্লাতিনিকে প্রতি বছর প্রায় তিনকোটি টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
প্লাতিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ফিফার হয়ে কাজ করেন। কিন্তু সে সময় তিনি ওই পারিশ্রমিক পাননি। ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিফার আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে পারিশ্রমিক নেননি প্লাতিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে ভরসা করেছিলাম। জানতাম একদিন ঠিক টাকা পেয়ে যাব।’ পরবর্তী সময়ে প্লাতিনি জানতে পারেন ফিফার কিছু পুরনো কর্মী টাকা পেয়েছেন। প্লাতিনি সে সময় তার পারিশ্রমিক চান। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে পারিশ্রমিক দাবি করেন তিনি। ব্লাটার অনুমতি দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যান প্লাতিনি।