৬৭ রানে ৬ উইকেট হাঁকিয়ে ধুঁকছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু রায়ান বার্ল এসেই দৃশ্যপট পাল্টে দিলেন। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের এক ওভারে ৩৪ রান নিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার। এর মধ্যে ৫টিই বিশাল ছক্কা; বাকি বলে আসে বাউন্ডারি। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে এত বেশি রান খরচের আর রেকর্ড নেই।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে ফের বল হাতে নেন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারে ৬ ওভার খরচ করে ১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। দলের প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এরপর মাহেদী-মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহদের ঝলকে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেল শুরু করেন নাসুম। ক্রিজে তখন দুজন নতুন ব্যাটার। বার্ল তখন ১৪ বলে ৯ রানে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু নাসুমকে পেয়েই যেন আক্রমণের নেশা চেপে বসলো তাকে। টানা ৪ বলেই হাঁকালেন বিশাল সব ছক্কা; এরপর পঞ্চম বলেও স্ট্রেইট ড্রাইভে বল ওভার বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অল্পের জন্য তা হয়নি। তবি বাউন্ডারি পেয়েছেন তিনি। এরপর শেষ বলে ফের ছক্কা। সবমিলিয়ে ওই ওভারে আসে ৩৪ রান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান খরচের দিক থেকে নাসুমের অবস্থান এখন যৌথভাবে দুইয়ে। এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে শিভব দুবের এক ওভারে নিউজিল্যান্ডের টিম সেইফার্ট ও রস টেইলর মিলে তুলেছিলেন ৩৪ রান। তবে ৬ ছক্কায় ৩৬ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ড। এর মধ্যে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অলরাউন্ডার পোলার্ড ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বোলার আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে যুবরাজের রেকর্ডে ভাগ বসান।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এর আগে সবচেয়ে বেশি খরুচে ওভারের রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দখলে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশি পেস বোলার অলরাউন্ডারের বলে ৩১ রান নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। সবচেয়ে বেশি খরুচে ওভারের তালিকায় তার অবস্থান পঞ্চম স্থানে। বাংলাদেশের জার্সিতে এই তালিকায় সাইফের পরেই অবস্থান সাকিব আল হাসানের। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সাকিবের এক ওভারে এই বার্ল-ই ৩০ রান নিয়েছিলেন। এরপর ২০২১ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার ড্যান ক্রিস্টিয়ানও একই লজ্জায় ডোবান সাকিবকে।