খুব বেশি দিন হয়নি। এ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে ফরম্যাটেও দাপট দেখিয়েছে আফ্রিকান দেশটি। তবে ওই জিম্বাবুয়েই কয়েকদিনের ব্যবধানে দেখলো মুদ্রার উল্টোপিঠ। ভারতের সামনে আক্ষরিক অর্থেই উড়ে গেছে তারা। হারারের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সফরকারীরা।
আজ (বৃস্পতিবার) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়েকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। সফরকারীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ৪০.৩ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফ্রিকার দেশটি। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে উইকেটই হারায়নি ভারত। শুবমান গিল ও শিখর ধাওয়ানের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ১১৫ বল আগেই নিশ্চিত করেছে জয়। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।
দীপক চাহারের শুরুতেই ধস নামান জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারই তার শিকার। তার গতি ঝড়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইনোসেন্ট কাইয়া (৪), তাদিওনাশে মারুমানি (৮) ও ওয়েসলি মাধেভেরে (৫)। এর মাঝে আঘাত হানেন মোহাম্মদ সিরাজ। এই পেসারের শিকার ১ রান করা শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। তবে ভারতের বিপক্ষে কিছুই করতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১২ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার প্রথম শিকার তিনি। এই পেসার পরে ফিরিয়েছেন রায়ান বার্ল (১১) ও রিচার্ড এনগারাভাকে (৩৪)।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এই এনগারাভার। সর্বোচ্চ ৩৫ রান এসেছে অধিনায়ক রেগিস চাকাভার ব্যাট থেকে। এছাড়া ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন ব্র্যাড এভান্স।
ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার চাহার। ৭ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামানো এই পেসারের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। অক্ষর প্যাটেলও ছিলেন দুর্দান্ত। ২৪ রান দিয়ে তার শিকারও ৩ উইকেট। প্রসিদ্ধও পেয়েছেন ৩ উইকেট।
১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উইকেটই হারায়নি ভারত। জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ধাওয়ান ও শুবমান। ধাওয়ান ১১৩ বলে ৯ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৮১ রানে। শুবমান ছিলেন আগ্রাসী। ৭২ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলেছেন হার না মানা ৮২ রানের ইনিংস।