যদি ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতে যেতো, তবে এই গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেহেতু ম্যাচটা টাইগাররা হেরে গেছে, তাই এখনকার গল্পটা কেবলই হতাশার৷
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রানের, বোলিংয়ে এলেন শেখ মেহেদী। একটি সিঙ্গেল, একটি বাউন্ডারির পর অনাকাঙ্ক্ষিত একটি নো-বলে ম্যাচটা তখনই জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের 'ডু অর ডাই' ম্যাচে ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪ বল হাতে রেখেই দুই উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে লংকানরা৷
১৮ তম ওভারেই আসলে খেলাটা বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে গেছে৷ এলোমেলো বোলিংয়ে ঐ ওভারে এবাদত হোসেন বিলিয়ে দিয়েছেন ১৭টি রান। এর আগেও ১২ তম ওভারে এবাদত দেন ২২ রান৷
এর আগে বাউন্ডারি লাইন থেকে ৩০ মিটার দৌড়ে এসে অসাধারণ দক্ষতার গুনাথিলাকার ক্যাচটি লুফে নেন তাসকিন আহমেদ, তখন থেকেই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে ছিল৷ কিন্তু পেসারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিং ও রান বিলানোর উৎসবে শেষটা আর রক্ষা হয়নি৷
এর আগে আফিফ, মিরাজ, মোসাদ্দেকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১৮৩ রানের ভালো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। টস ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেটা পক্ষে আসেনি সাকিবের। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির ৬ বলে এক চারে ৫ রান করে ফিরে যান। অন্য প্রান্তে ছোট্ট একটা ঝড় দেখান মেহেদি মিরাজ। তিনি ২৬ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। সাহসী ব্যাটিং দেখান।
নতুন দুই ওপেনারের জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি, তবে মিরাজের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো পায় বাংলাদেশ। মিরাজের পর মুশফিকও দ্রুত ফিরে গেলে আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ। আফিফের সঙ্গে সাকিবের জুটির শুরুটাও ভালো হয়। এরপর আবার চাপ বাড়ে সাকিবের অসময়ে আউটে।
পাওয়ারপ্লেতে ৫৫ রান তুললেও পরের ৬ ওভারে ৩৬ রান তুলতে আরও ৩ উইকেট হারায় তারা। আফিফ ও মাহমুদউল্লাহর জুটি আবার এগিয়ে নেয় বাংলাদেশকে। দুই থিতু ব্যাটসম্যান অবশ্য ফেরেন ৪ বলের ব্যবধানে। বাংলাদেশকে এরপর আরেকটু কম রানের মধ্যে আটকে রাখার সুযোগও তৈরি করে তাতে শ্রীলঙ্কা। তবে ফর্মে থাকা মোসাদ্দেকের ৯ বলে ২৪ ও তাসকিন আহমেদের ৬ বলে ১১ রানের অপরাজিত দুটি ক্যামিওতে ১৮৩ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের বোলাররা ৮টি ওয়াইড, ৪টি নো বল করেছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে এই 'এক্সট্রা' রানগুলোই অনুঘটকের ভূমিকায় কাজ করেছে৷