বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিরপুর মডেল থানায় গিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্তসাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে স্ত্রী লিখিত অভিযোগ করলেও জাতীয় দলের পেসার আল আমিন হোসেন মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মারধর করার তো প্রশ্নই ওঠে না। একসঙ্গে থাকলে তো কত কিছু নিয়েই মনোমালিন্য হয়। ও আমার কাছে দাবি করেছিল যে, ওর নামে ফ্ল্যাট লিখে দিতে হবে। আমি এতে রাজি হইনি। এটা থেকেই রাগারাগি হয়েছে। তবে থানায় যাওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমার ধারণা, প্রতিবেশী মহিলারা আর আশেপাশের লোকজন ফুসলিয়ে ওকে থানায় যেতে বলেছে।’
দ্বিতীয় বিয়ে এবং যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেছেন, ‘আমি কোনও দ্বিতীয় বিয়ে করিনি। সব ভুল বোঝাবুঝি। বান্ধবী থাকলেই কী বিয়ে নাকি? আর যৌতুক চাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। তদন্ত কর্মকর্তা এলেই সব প্রমাণ হবে। আর আমাদের মধ্যেও দ্রুতই সব ঠিক হয়ে যাবে। দেখবেন, দুই একদিনের মধ্যে ও নিজেই বলবে যে সব ঠিক আছে। আমরা ভালো আছি।’
লিখিত অভিযোগে ইসরাত জাহান লিখেছেন, গত ২৫ আগস্ট আনুমানিক রাত ১০টায় তার স্বামী বাসায় এসে যৌতুকের ২০ লাখ টাকা এনেছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। এতো টাকা দেওয়া পিতার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করান।’
এর আগে বেশ কয়েকবার শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে। আল-আমিন ও ইসরাত দম্পত্তির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। তারাও মায়ের সঙ্গে থানায় এসেছিল।
প্রসঙ্গত, নারীঘটিত কারণে এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিসিবি আল-আমিনকে শাস্তি দিয়েছিল। বিপিএল চলাকালে হোটেল রুমে নারী অতিথি নিয়ে যাওয়ায় তার শাস্তি হয়েছিল। এছাড়া নানা সময়ে মাঠে অশোভন আচরণের কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার।