সিডনিতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের খেলার ধরন নিয়ে আলোচনা করলেন সাকিব। তার মতে, টি-টোয়েন্টিতে পারফর্মার বেশি থাকবে না। তবে যে ভালো করবে তার পারফরম্যান্স যেন বড় হয়।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেই যেমন। তাসকিন শুরুতে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন। পরে আরও দুই উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তেমনই কেউ একজন আবার নিজেকে মেলে ধরলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“টি-টোয়েন্টি আসলে মোমেন্টামের খেলা তো, মোমেন্টামটা ধরাটা খুব জরুরি এবং সেটা বজায় রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে ও টেস্টে সাধারণত পারফর্মারের সংখ্যাটা বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু অত বেশি থাকার সুযোগটা নেই। কম পারফর্মার থাকবে কিন্তু ওদের পারফরম্যান্সটা একটু বড় হতে হয়।”
“আমি এটা আশা করছি যে, বৃহস্পতিবার আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ। আমাদের ১১ জনের যারা খেলবে তাদের মধ্যে একজনের হিরো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তো ওই হিরোটা কে হবে সেটাই দেখার। ওগুলোই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করে।”
কে হবেন সেই হিরো? নির্দিষ্ট করে কারও নাম বলতে রাজি নন সাকিব। যার সামনে যে সুযোগ আসবে সেটি কাজে লাগানোর মানসিকতার তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। খোলা মনে খেলা উপভোগ করার কথা বললেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
“ওপেনারদের সুযোগ আছে ২০ ওভার ব্যাটিং করার। কেন তারা পারবে না? আমি বিশ্বাস করি তারা করতে পারবে। কিংবা আমাদের বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে আগেরদিন, কেন আমরা আবার ১০ উইকেট নিতে পারব না। তো আমাদের চিন্তাই থাকবে ওরকম। আমরা খোলা মনে যেতে চাই, খেলাটা উপভোগ করতে চাই, আক্রমণাত্মক থাকতে চাই। অবশ্যই রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলতে চাই এবং দিন শেষে হাসিমুখে ফিরে আসতে চাই।”
তাক লাগানো পারফরম্যান্সের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করার পক্ষে নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলগতভাবে ধারাবাহিক ভালো করার দিকেই বেশি মনোযোগ সাকিবের।
“চমকে দেওয়ার মতো কিছু হলে সেটা তো চমকই হলো। কিছু কিছু ব্যতিক্রম থাকে যেটা উদাহরণ হতে পারে না। উদাহরণ হলো যখন দলগতভাবে পারফর্ম করছে, কেউ না কেউ প্রতিদিন পারফর্ম করছে। দলের কেউ হয়তো ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে। সেই দলগুলোই হয়তো দীর্ঘমেয়াদে ভালো খেলে। আমরা ওরকমই পারফরম্যান্স চাই।”