চির শত্রু দেশ (ভারত-পাকিস্তান) থেকেই দুই জন ভালোবেসে বেঁধেছিলেন ঘর। সব ভালোই চলছিল। অন্তত বাইরের মানুষ তাই জানতেন। অবশেষে শোয়েব-সানিয়ার ঘরের খবর এলো বাইরে। প্রথমে তারা আলাদা থাকা শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন।

ক্রীড়া জগতের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা। শোয়েব পাকিস্তানের আর সানিয়া ভারতের। এই দুই দেশ আবার চির শত্রু। এই ক্রিকেট ও টেনিস তারকার প্রথম দেখা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। হোবার্টে প্রথম দেখা করেছিলেন তারা। পাঁচ মাস এভাবেই দেখা সাক্ষাৎ করেন তারা। অর্থাৎ তখনই প্রণয়ে বেঁধেছিলেন একে অপরকে। পাঁচ মাস প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন শোয়েব-সানিয়া। ২০১০ সালে বিয়ে হয় তাদের। 

শোয়েব-সানিয়া যখন বিয়ে করেন তখন তাদের দুইজনেরই ক্যারিয়ারের খারাপ সময় যাচ্ছিল। ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন শোয়েব। অপরদিকে, সানিয়া ছিলেন অফফর্মে। তারপর দুইজনই আবার ফিরেছিলেন নিজ নিজ খেলার মাঠে। শোয়েব গতবছর পর্যন্তও খেলেছেন জাতীয় দলে। গতবছর বাংলাদেশ সফরের পর দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। তবে সানিয়া আরও আগেই বন্ধ করেছেন খেলা। ২০১৭ সালে একটি বড় অপারেশন করা হয় সানিয়ার। তারপর খেলা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন দীর্ঘ সময়ের জন্য।

বিয়ের আট বছর পর সন্তানের বাবা-মা হন এই জুটি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শোয়েব-সানিয়া জুটির কোলজুড়ে আসে ছেলে সন্তান। নাম ইজহান মির্জা মালিক। ছেলের বয়স এখন চার বছর। আর এই বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ঘটলো। 

কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল এই জুটির বিচ্ছেদের। গতকাল সানিয়া মির্জা ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দেন। যা নিয়ে শুরু হয় হৈচৈ। তিনি লেখেন, "ভাঙ্গা মন কোথায় যায়? আল্লাহর কাছে যায়।" সেই সূত্র ধরেই চলে আরো গবেষণা। শেষ পর্যন্ত ঘরের খবর বাইরেই বের হয়ে আসলো। 

শোয়েব মালিকের ম্যানেজমেন্ট টিমের একজন নাম প্রকাশ না সত্ত্বে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "হ্যা, তারা এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই ডিভোর্সড। আমি এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না, তবে আমি নিশ্চিত করছি তারা আলাদা হয়ে গেছে।"

অভিযোগ উঠেছে মালিকের দিকে। এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাকি প্রতারণা করেছেন সানিয়ার সাথে। তিনি ধরাও পড়েছেন। বিভিন্ন সময়ে অবশ্য সানিয়ার আবেগপ্রবণ পোস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে এসেছিল কিছু একটা হয়ত চলছে তাদের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ১২ বছরের সম্পর্ক শেষই হয়ে গেল। 

তারা বেশ কিছুদিন ধরেই আলাদা থাকছেন। তবে সেটা কত দিন তা জানা যায়নি। আলাদা থাকলেও ছেলে ইজহানের প্রতি দুইজনই খুব সদয়। ছেলেকে দুইজনই সময় দেন। দুইজনই আলাদাভাবে বাবা ও মায়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে এই বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি শোয়েব মালিক। সানিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ইঙ্গিত দিলেও সরাসরি কিছু বলেননি।