মিরপুর টেস্টে লিটন দাস ও জাকির হাসানের ফিফটি, নুরুল হাসান ও তাসকিন আহমেদের অবদানে ভারতকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। চা-বিরতির পর ১০.২ ওভারে ৩৬ রান যোগ করতে বাংলাদেশ হারিয়েছে শেষ ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০.২ ওভারে ২৩১ তুলে থেমেছে স্বাগতিকেরা।
চা-বিরতির পর দ্বিতীয় বলে সিরাজকে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন লিটন। শিগগির তার বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ফিল্ডিংয়ে যায় ভারত। লিটন অবশ্য গ্যাপ বের করেন ঠিকই, অক্ষরকে কাট করে মারেন চার। তাসকিনের সঙ্গে তার জুটি ফিফটিও পেরোয় কিছুক্ষণ পর।
লিটনকে থামতে হয় সিরাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। লেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা লাফিয়ে উঠে ভড়কে দেয় তাকে, বলের লাইনে ব্যাটই নিয়ে যেতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে নিজের প্রথম ফিফটি ৭৩ রান পর্যন্ত টানতে পারেন তিনি। তাসকিনের সঙ্গে তাঁর ৬০ রানের জুটি ভারতের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
তাইজুল ইসলাম এলবিডব্লিউ হন অশ্বিনের বলে। অবশ্য রিভিউ নেওয়ার পর বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি শুধু ক্লিপ করত লেগ স্টাম্প। খালেদ ও তাসকিন এরপর একটি করে বাউন্ডারি মেরে ভারতীয়দের হতাশ করছিলেন। তবে মিডউইকেট থেকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হন খালেদ।
মিরপুরের স্লো উইকেটে শনিবার শুরু থেকেই হতাশায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় সেশনেও ছিল একই চিত্র। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকির হাসান, ফিফটির পর এক রান যোগ করতেই ফেরেন সাজঘরে।
সপ্তম উইকেট জুটিতে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে কিছুটা প্রতি আক্রমণের চেষ্টা করেন লিটন। তবে অক্ষরের বলে সোহান স্ট্যাম্পিং হলে ৪৬ রানে ভাঙে সেই জুটি। তাতে চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৯৫ রান।
চাপের মুখেও আজ নিজেকে বেশ প্রমাণ করেছেন লিটন। ফিফটি তুলে নিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও। ভালো ব্যাটিং করেছিলেন সোহানও। ৩১ রানে থাকা অবস্থায় স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এর আগে কোনো রান না করেই এদিন মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরেছেন।
আরও পড়ুন
লিটন-তাসকিনের ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ