বুধবার দুপুরে র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক
হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। ধারাবাহিকভাবে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে বোলারদের
র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় উঠেছেন সিরাজ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে
দুইটি খেলে ৫ উইকেট নেওয়া এই পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৭২৯। দুই নম্বরে থাকা জশ
হেইজেলউডের সঙ্গে তার রেটিংয়ের ব্যবধান ২ পয়েন্টের।
ওয়ানডে
ক্রিকেটে এক বছর ধরে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন মোহাম্মদ সিরাজ। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে
পেলেন এর পুরস্কার। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠলেন ভারতীয়
পেসার।
২০১৯ সালে
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে ৭৬ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন সিরাজ। এরপর
প্রায় তিন বছর আর এই সংস্করণে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ফিরে নিজেকে দলের মূল বোলারে পরিণত করেছেন এই গতিতারকা। নতুন
অধ্যায়ে খেলা ২০ ওয়ানডেতে ২৮ বছর বয়সী এই বোলারের শিকার ৩৮ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ
স্রেফ ৪.৪৩ রান।
ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান
পাওয়ার আগে আইসিসির ২০২২ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলেও জায়গা পেয়েছেন সিরাজ। র্যাঙ্কিংয়ে
উন্নতি হয়েছে ভারতের আরেক পেসার মোহাম্মদ শামিরও। ১১ ধাপ এগিয়ে ৩২ নম্বরে উঠেছেন
তিনি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন
সাকিব আল হাসান। ৬৫২ রেটিং নিয়ে ৭ নম্বরে আছেন তিনি। মুস্তাফিজুর রহমান ৬৩৭ পয়েন্ট
নিয়ে আছেন ৯ নম্বরে।
ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ
দিয়েছেন কনিষ্ঠতম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া শুবমান গিল। নিউ
জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ৩ ম্যাচে ৩৬০ রান করার সুবাদে ২০ ধাপ এগিয়ে ৬ নম্বরে
উঠেছেন ডানহাতি ওপেনার। স্টিভ স্মিথের সঙ্গে যৌথভাবে ৯ নম্বরে ভারতীয় অধিনায়ক
রোহিত শর্মা।
ভারতের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা
ডেভন কনওয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে ৩৭ নম্বরে উঠে এসেছেন। অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ৩৮৯
রেটিং নিয়ে এক নম্বরে সাকিব আল হাসান। তিন নম্বরে আরেক বাংলাদেশি স্বদেশি মেহেদী
হাসান মিরাজ (২৮৪ রেটিং)। তাদের দুজনের মাঝে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নাবি।
ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে
রেখেছেন বাবর। ৮৮৭ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে আছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। দুইয়ে থাকা
রাসি ফন ডার ডুসেনের সঙ্গে বাবরের ব্যবধান ১২১ পয়েন্টের।