নিরাপত্তার কারণে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি
পাকিস্তানে। সে সময় আরব আমিরাতকেই নিজেদের ক্রিকেটের ‘ঘর’ বানিয়েছিল পাকিস্তানিরা।
জাতীয় নির্বাচন ও করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে আইপিএল আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও মরুর
দেশটিতে আয়োজন করেছিল ভারত।
সর্বশেষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে আরব আমিরাতে এশিয়া
কাপ আয়োজন করতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কা। এবার ভারত পাকিস্তানে খেলতে অসম্মতি জানানোয় আবারও
এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। বাহরাইনে গত রাতে এশিয়ান
ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে
এবারের এশিয়া কাপও হবে এ সংস্করণের। আগস্ট–সেপ্টেম্বরে টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা পাকিস্তানে।
কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানে তারা দল পাঠাবে
না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) ভারতে এসে বিশ্বকাপ না খেলার পাল্টা হুমকি দিয়েছিল।
এ নিয়ে দুই বোর্ডের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শীতল হতে চলার আবহেই বৈঠক করেছেন বিসিসিআই
সচিব জয় শাহ ও পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। জয় শাহ আবার এসিসির সভাপতিও।
একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, জয় শাহ ও নাজাম শেঠির
আলোচনায় একটা বিষয় স্পষ্ট, পাকিস্তানে হচ্ছে না এশিয়া কাপ। শেঠি বিষয়টি মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ
ভেন্যু ঠিক করতে বলেছেন। জয় শাহ আরব আমিরাতের নাম প্রস্তাব করেছেন। মূলত শেঠির আহ্বানেই
এসিসির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানেরা বাহরাইনে একত্র হয়েছিলেন। মার্চে
আবারও সভা হওয়ার কথা। সেখানেই চূড়ান্ত হবে আয়োজক দেশের নাম।
এসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ এশিয়া কাপ নিয়ে গঠনমূলক
আলোচনা হয়েছে। টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করতে কার্যনির্বাহী বোর্ড সব ব্যাপারে একমত
পোষণ করেছে। আগামী মার্চে এসিসি কার্যনির্বাহী বোর্ডের পরবর্তী বৈঠকের পর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত
জানানো হবে।