শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি
ভেঙে পড়ার কারণে দেশটিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অরাজকতা। সরকার থেকে শুরু করে সর্বত্র
বিরাজ করছে অস্থিতিশীলতা। এ অবস্থায় চিন্তায়
পড়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
দেশটিতে ২০২০ সালে
এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা এক বছর পিছিয়ে
যায়। অবশেষে গত মাসে আসন্ন এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করে এসিসি। সে অনুযায়ী, আগামী ২৭ আগস্ট শ্রীলঙ্কায় শুরু হবে এবারের লড়াই। ১১ সেপ্টেম্বর ফাইনাল দিয়ে এর পর্দা নামবে।
এর আগে ২০ আগস্ট এশিয়া কাপের কোয়ালিফাইং পর্ব শুরু হবে। টুর্নামেন্ট আয়োজনের সব দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিল ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা (এসএলসি)। কিন্তু দেশটির বর্তমান পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে বিদ্যুৎ বাঁচাতে রাস্তাঘাটের সব আলো নিভিয়ে রাখা হচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই লোডশেডিং থাকছে। ডলারের অভাবে বিদেশ থেকে কয়লা, পেট্রো পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। জ্বালানির আকাল সৃষ্টি হয়েছে। কাগজের অভাবে পরীক্ষা বন্ধ রাখা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে হু হু করে।
এ অবস্থায় সেখানে এশিয়া কাপ আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে এখনই শ্রীলঙ্কা থেকে টুর্নামেন্ট সরানোর কথা ভাবছে না এসিসি। দেশটির সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তারা। কারণ, আসর গড়াতে এখনও মাস চারেক বাকি। তবে আগামী মাসে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ইতোমধ্যে বিকল্প ভাবা শুরু হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার পরিবর্ত ভেন্যু কোথায় স্থানান্তর করা যায় তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। এরই মধ্যে এসিসিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ আয়োজন করতে প্রবল আগ্রহী তারা। এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রস্তুত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এশিয়া কাপ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শ্রীলঙ্কায় যদি শেষমেশ এ টুর্নামেন্ট আয়োজন না করা যায়, তাহলে আমরা তৈরি। সেটা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে জানিয়েও দেয়া হয়েছে।'
তবে ওই সময় বাংলাদেশে বৃষ্টি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, সেসময় বর্ষা চলবে। একই কারণে, ভারতেও সেই টুর্নামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে পারে ২০২২ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ।